৪৪৪ রানের স্কোরবোর্ডে কেন খুশি নন নাজমুল
এমন স্কোরবোর্ড বাংলাদেশ শেষ কবে দেখেছে? দলের রান ৪৪৪। ওপেনার সাদমান সেঞ্চুরি করেছেন। সাত নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজও।
আউট হওয়া ১০ ব্যাটসম্যানের মধ্যে এক অঙ্কে আউট হয়েছেন দুজন, বাকি আটজনের মধ্যে সর্বনিম্ন রান তাইজুল ইসলামের ২০। তবে এমন স্কোরবোর্ডে খুশি নন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। এমন কিছু সামনে তিনি দেখতেও চান না।
টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটে থিতু হলে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বটা আরও বাড়ে। বড় ইনিংস খেলতে পারলে দলকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। নাজমুল তাই থিতু হয়ে আউট হওয়াতে অখুশি। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৪৪ রান করে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। তবু ব্যাটিং নিয়ে ম্যাচের পর কিছুটা আক্ষেপই ঝরল নাজমুলের কণ্ঠে, ‘অধিনায়ক হিসেবে স্কোরবোর্ড কখনো আমি এ রকম চাই না। যদি এ রকম না হয়ে, দুজন রান না করে সাদমান ২০০, আমি ১০০, মুশফিক ভাই ১৫০ করতেন তাহলে আরও বেশি খুশি হতাম।’
বাংলাদেশ দল পরের টেস্ট খেলবে জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই সিরিজে থিতু হওয়া ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বড় ইনিংস দেখতে চান অধিনায়ক, ‘সবাই ৪০, ৪০ করার চেয়ে দুইটা বড় ইনিংস হলে বেশি খুশি হতাম। এটা (ছোট ছোট ইনিংস) ভালো দিক না ব্যাটিং ইউনিটের জন্য। এখান থেকে আত্মবিশ্বাস পাওয়ার কিছু নেই। থিতু হওয়ার পর সহজ আউট। আমি চাই শ্রীলঙ্কায় যেন এ রকম না হয়। যে সেট হবে সে যেন ১৫০, ২০০ রান করে।’
চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। যা এসেছে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৩ উইকেটে হেরে যাওয়ার পর। বড় জয়ে ঘুরে দাঁড়ালেও সিরিজে দলের পারফরম্যান্সে খুব বেশি খুশি নন নাজমুল, ‘সত্যি বলতে, আমি খুব বেশি খুশি নই, যদি আপনি দুই ম্যাচের কথা বলেন। আরও ভালো ক্রিকেট খেলা উচিত ছিল, সিরিজটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। ওইভাবে চিন্তা করলে আমরা প্রথম ম্যাচটায় মোটেও ভালো খেলতে পারিনি। এই ম্যাচে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।’
আজ ম্যাচের শেষ দিনে মিরাজ ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পাশাপাশি বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন। ১১৬ রান ও ১৫ উইকেট নিয়ে সিরিজ–সেরাও হয়েছেন এই অলরাউন্ডার। মিরাজের পারফরম্যান্স ছাড়া এই সিরিজে প্রাপ্তি কী, সেই প্রশ্নে নাজমুল বলেছেন, ‘তাইজুল ভাই যেভাবে কামব্যাক করেছেন, ওপেনিং জুটি, সাদমানের ভালো একটা এক শ, বিজয় (এনামুল) এত দিন পর দলে এসে সুন্দর ব্যাটিং করেছে। দুর্ভাগ্যবশত আউট হয়েছে, রানটা বড় হয়নি। ওপেনিংয়ের বিষয়টা ভালো লেগেছে।’
তাইজুল দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটসহ সিরিজে ১১ উইকেট, সাদমান দ্বিতীয় টেস্টে ১২০ রান এবং একই ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে ২০২২ সালের পর প্রথমবার এক শ রানের জুটি দেখা গেছে। তবে এ ধরনের পারফরম্যান্স ধারাবাহিকভাবে দরকার, সেটা নাজমুলই বলেছেন।