ধর্মশালার মতো আউটফিল্ড কোনো টুর্নামেন্টের শুরুতে দেখেননি হেরাথ

বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথফাইল ছবি

ধর্মশালার মাঠের আশপাশের সৌন্দর্য নিয়ে যত মুগ্ধতা, ঠিক তার বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে মাঠের ভেতরের পরিবেশ নিয়ে। আউটফিল্ডের অবস্থা এতটাই খারাপ যে আজ ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথকে বেশির ভাগ প্রশ্ন করা হলো এ বিষয়ে। এমনকি ফিল্ডারদের বাড়তি কোনো সতর্কবার্তা দেবেন কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। আউটফিল্ড নিয়ে সরাসরি উত্তর না দিলেও বলটা আইসিসির কোর্টেই ঠেলেছেন হেরাথ। তবে কোনো টুর্নামেন্টের শুরুতে এমন আউটফিল্ড কখনো দেখেননি বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ।

মাঠটির আউটফিল্ড বেশ বালুময়, নরম। স্বাভাবিকভাবেই ফিল্ডিংয়ের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ সেটি। শনিবার বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে দুই দলের ফিল্ডাররাই যার ভুক্তভোগী। আউটফিল্ডের কারণে ফিল্ডাররা চোটের ঝুঁকিতে থাকবেন বলে আগেই সতর্ক করে দিয়েছেন আফগানিস্তানের ইংলিশ কোচ জোনাথন ট্রটও। আউটফিল্ড নিয়ে বিরক্তির কথা বলেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারও।

আরও পড়ুন

আজ সংবাদ সম্মেলনে ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে জানতে চাইলে হেরাথ বলেছেন, ‘আমরা জানি, আউটফিল্ড কীভাবে কাজ করে। আমাদের আউটফিল্ডের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে বেশ ভালো শুরু পেয়েছি। আমাদের উচিত এই মানসিকতা ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়া।’

ধর্মশালার এই আউটফিল্ডকে আইসিসিও ‘গড়পড়তা’ বলেছে। বাটলার বলেছেন, সীমানার কাছে ফিল্ডিংয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে বাংলাদেশ দলে তেমন কোনো বার্তা নেই বলে জানিয়েছেন হেরাথ, ‘নাহ, আমরা কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করিনি। কারণ, আপনি যদি কাউকে কিছু করার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করেন, তবে তারা তাদের শতভাগ দিতে পারবে না। তারা আগের ম্যাচে খুব ভালো করেছে। তাই আমরা তাদের বলেছি নিজেদের শতভাগ দিতে, এমনকি আউটফিল্ডেও।’

বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে চোটের ঝুঁকিতে ছিলেন মুজিব উর রেহমান
ছবি: টুইটার থেকে

হেরাথ নিজে আউটফিল্ড নিয়ে খুশি কি না জানতে চাইলে তাঁর উত্তর ছিল এমন, ‘আমি মনে করি, আইসিসি এটা নিয়ে অনেক কাজ করেছে। আমার মনে হয়, তারা মনে করেছে যে মান বজায় রাখা হয়েছে। আর এ কারণে তারা এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অনুমতি দিয়েছে। সুতরাং এই ক্ষেত্রে আমি খুশি।’

আরও পড়ুন

সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে এমন আউটফিল্ড আর দেখেছেন কি না জানতে চাইলে হেরাথ বলেছেন, ‘অবশ্যই শুরু থেকেই এমন দেখিনি। কখনো কখনো বৃষ্টি বা তেমন কোনো কারণে এ ধরনের আউটফিল্ড দেখা যায়। আগেই যেমনটি বললাম, যদি আপনি এ ক্ষেত্রে শতভাগ না পান, যদি (শুধু) আন্তর্জাতিক মানের মাঠই পান, তবে তা নিয়ে কেন অভিযোগ করবেন? আমি তাই এটা নিয়ে ভাবছি না। যদি এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য উপযোগী হয়, তবে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়ে খুশি।’