ভারত-আফগানিস্তানের বেঙ্গালুরুর সেই রোমাঞ্চ কি ফিরবে বার্বাডোজে
দুই দলের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ছিল মহানাটকীয়। বেঙ্গালুরুতে এ বছরের জানুয়ারিতে মূল ম্যাচের পর প্রথম সুপার ওভারও টাই হওয়ার পর হয়েছিল দ্বিতীয় সুপার ওভার। শেষ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে আর পেরে ওঠেনি আফগানরা। ভারতের বিপক্ষে তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথম জয়ের একেবারে কাছ থেকে ফিরতে হয়েছিল তাদের। এর আগে একটি ওয়ানডে ম্যাচও টাই হয়েছিল দুই দলের।
সে দুই দল এবার মুখোমুখি বিশ্বকাপে। বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে দুই দলেরই সুপার এইটে প্রথম ম্যাচ এটি। গ্রুপ পর্বে দুই দলই সুপার এইট নিশ্চিত করে আগেভাগেই। আয়ারল্যান্ডের পর পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রকে হারায় ভারত। পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অবশ্য কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়েছে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট দলকে। কানাডার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি তো পরিত্যক্তই হয় তাদের।
অন্যদিকে উগান্ডা, নিউজিল্যান্ড ও পাপুয়া নিউগিনিকে উড়িয়ে দিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করে আফগানিস্তান। যদিও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে রশিদ খানের দল। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের খুব কাছ থেকে ঘুরে আসা দলটি এবার নিশ্চয়ই সে আক্ষেপ ঘোচাতে চাইবে। তেমন কিছু করতে গেলে এ ম্যাচ স্বাভাবিকভাবেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ তাদের।
অবশ্য আফগানিস্তান-হুমকির চেয়েও নিজেদের শক্তির দিকেই বেশি নজর দিতে চান সূর্যকুমার যাদব। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ভারত ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘অবশ্যই আমাদের আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরিকল্পনা আছে, তবে আমরা পুরো দৃঢ়সংকল্প। আমাদের শক্তির জায়গাও ভালো। আমরা এসব নিয়ে কাজ করছি। মানে আমরা প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবি; কিন্তু দিন শেষে নিজের শক্তির জায়গা জেনে সেগুলোতে আস্থা রাখতে হবে।’
টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি ভারত-আফগানিস্তান
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে গত পরশু সেন্ট লুসিয়ায় ১০৪ রানে হারের পর খুব বেশি সময় পায়নি আফগানিস্তান। সে হারের পর ভারত ম্যাচে ভালো করার ব্যাপারে আফগানিস্তান কোচ জোনাথন ট্রট বলেছিলেন, ‘যেসব নিয়ে কাজ করতে হবে—ওভারকে টেনে ধরার ব্যাপারটি। যদি কোনো ওভারে শুরুটা ভালো না হয়, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
গ্রুপ পর্বে ভারত সব কটি ম্যাচই খেলেছে যুক্তরাষ্ট্রে। নিউইয়র্কের পিচ তো ব্যাটসম্যানদের জীবন একরকম দুর্বিষহই করে তুলেছিল। কেনসিংটন ওভালের পিচ সেখানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের জন্য হয়ে আসার কথা স্বস্তি হয়ে। সূর্যকুমার যেমন বললেন, ‘সেখানেও খেলতে পেরে ভালো লেগেছে, এমন না যে ভালো লাগেনি। প্রথমবার খেলছিলাম, কন্ডিশন আলাদা ছিল, একটু চ্যালেঞ্জিংও ছিল। তবে এখানে (ব্রিজটাউনে) খেলেছি, এখানকার কন্ডিশন জানি, কীভাবে কী হয়। ফলে এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে।’
অন্যদিকে আফগানিস্তান তাদের সব কটি ম্যাচই খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। যদিও ব্রিজটাউনে এটিই প্রথম ম্যাচ হতে যাচ্ছে তাদের। এখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ২০০ রানের স্কোরও গড়েছে। অবশ্য ৮ জুনের পর ম্যাচ হয়নি কোনো। উইকেটের রং বাদামি মনে হলেও, সেটি ব্যাটিং–সহায়ক হবে বলেই আশা সূর্যকুমারের, ‘অনুশীলনের উইকেটগুলো ভালো ছিল। আমরা আশা করছি, ম্যাচের উইকেটও অনেক ভালো হবে।’
সেই ভালো উইকেটে ভারতের সঙ্গে অধরা জয় পাবে আফগানিস্তান নাকি আরেকবার পুড়বে আক্ষেপে?