বিশ্বকাপে দেশের জন্য বড় কিছু করার স্বপ্ন জাকেরের

বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটার জাকের আলীইনস্টাগ্রাম

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে জাকের আলী। বিপিএল দিয়ে আলোড়ন তোলা জাকের সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত তরুণ ক্রিকেটারদের একজন। এ বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪ বলে ৬৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে সবার দৃষ্টি কাড়েন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তবে জাকেরের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ।

বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশকে ভালো কিছু করতে হলে অবদান রাখতে হবে জাকেরকেও। তরুণ এ ক্রিকেটার নিজেও চান দেশের জন্য বড় কিছু করতে। এমন কিছু অর্জন করে জাকের দেশে ফিরতে চান, যা বাংলাদেশ আগে করেনি। আজ বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডের (বিসিবি) ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ক্রিকেটে নিজের বেড়ে ওঠা এবং বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্নের কথা বলেছেন জাকের।

আরও পড়ুন

বিশ্বকাপে নিজের স্বপ্ন ও লক্ষ্য নিয়ে জাকের বলেছেন, ‘দল হিসেবে আমি চাইব, আমরা প্রতিটা ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করে দেখাতে এবং জিততে। নিজের দেশের জন্য বড় কিছু করার ইচ্ছা আছে। এই বিষয়টা সব সময় ভাবনায় কাজ করে। ইচ্ছা থাকবে, আগে যেসব জিনিস অর্জন করতে পারিনি, সেসব যেন এবার অর্জন করতে পারি।’

নিজের ব্যক্তিগত পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন জাকের, ‘যখন থেকে শুনলাম যে আমি দলে আছি, তখন থেকেই ম্যাচ বাই ম্যাচ দেখা শুরু করে দিয়েছি। কার সঙ্গে কীভাবে খেলতে হবে, কোন প্রতিপক্ষের সঙ্গে কী রকম কৌশলে নিতে হবে, সেগুলো নিয়ে ভাবছি। সেভাবেই আগাচ্ছি।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ছয়ে নেমে আলো ছড়িয়েছিলেন জাকের আলী
প্রথম আলো

এ ভিডিও সাক্ষাৎকারে ক্রিকেটে নিজের শুরু নিয়েও কথা বলেছেন হবিগঞ্জ থেকে উঠে আসা এ ক্রিকেটার, ‘ক্রিকেট দেখেই ক্রিকেটে আসা। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট খুব ভালোভাবে অনুসরণ করি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই বিশ্বকাপ থেকে ক্রিকেটটা ভালোভাবে বোঝা শুরু করি। তখন থেকেই আসলে ইচ্ছে ছিল যে বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলব। দেশের হয়ে খেলাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। সেটা যদি বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে হয়, তবে তো আরও ভালো।’

বাংলাদেশ দলের নবীন সদস্যদের একজন জাকের। দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘যেভাবে দলে আমাকে স্বাগত জানানো হয়েছে, সেটা আমার খুব ভালো লেগেছে। সেটা আসলেই বিশেষ কিছু ছিল।’

আরও পড়ুন

জাকেরের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাওয়ায় তাঁর মায়ের স্বপ্নও পূরণ হয়েছে, ‘কাছের সবাই খুব গর্ববোধ করে। আম্মার স্বপ্ন ছিল, আমি দেশের হয়ে খেলব। উনি সব সময় বলতেন, “তোর তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মাশরাফি ভাইদের দলে তুই কবে খেলবি।” এটাই আমার আম্মার স্বপ্ন ছিল। আর এখন উনি খুব গর্ববোধ করেন। আব্বা যত দিন ছিলেন, তিনি মাঠে বসে থাকতেন। আব্বা যখন থাকতেন না, আমার বোন নিয়ে যেত।’

এ সময় বড় ভাই ও বিকেএসপির অবদানের কথা বলতেও ভোলেননি জাকের, ‘আমার বড় ভাইকে দেখে ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। আমি যখন ক্রিকেট দেখা শুরু করি, সে সময় আমার ভাইও ক্রিকেট খেলত। এসব কারণে সবার ভালো সমর্থন পেয়েছি। আমি ২০১০ সালে বিকেএসপিতে ট্রায়াল দিই, এখানে আসার পরই স্বপ্নগুলো বড় হতে থাকে। শুরুতে স্বপ্ন এত বড় ছিল না। তবে এখানে এসে যখন বড় ভাইদের দেখলাম, তখন মনে হলো স্বপ্নগুলো বড় করতে হবে। যদি আমি হবিগঞ্জে বসে থাকতাম, আমার মনে হয় না এত দূর আসতে পারতাম।’