বিশ্বকাপে সব ম্যাচ জিতলেও উন্নতির স্লোগান দেবেন তাসকিন

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচসেরা তাসকিন আহমেদছবি: শামসুল হক

‘স্বস্তির জয়।’

শব্দ দুটির সঙ্গে একমত ছিলেন না তাসকিন আহমেদ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়কে তাসকিন দেখছেন উদ্‌যাপনের উপলক্ষ হিসেবে। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রথম জয় বলে কথা। হোক না প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ছোট দল আর বড় দলের পার্থক্যটা কমে আসে। সে জন্য এ জয়কে কোনোভাবেই খাটো করে দেখতে চান না ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই ফাস্ট বোলার।

আজ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন আহমেদ বলেছেন, ‘এই জয় স্বস্তির চেয়ে বেশি হচ্ছে উদ্‌যাপনের। কারণ, এর আগে আমরা সুপার টুয়েলভে কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। এটা আমাদের জন্য বড় জয়। আর টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলকে ছোট করার উপায় নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাদ পড়ে গেছে। সুতরাং এটা আমাদের জন্য বড় জয়।’

উদ্‌যাপনটা তাহলে কেমন হয়েছে? এই ফিরতি প্রশ্নের উত্তরে তাসকিন যোগ করেন, ‘জিততে পেরেছি, এটাই সবচেয়ে বড় শান্তির বিষয়। কারণ, অনেক দিন ধরে জিততেই পারছিলাম না। মানসিকভাবে এটার একটা চাপ ছিল। উদ্‌যাপন আর কী, মনের খুশি সবচেয়ে বড় বিষয়। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জিততে পেরেছি, এটাই বড়।’

টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করলেন তাসকিন
ছবি: শামসুল হক

তবে এই এক জয় বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টির সামর্থ্য পাল্টে দেয়নি। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের আরও উন্নতি দরকার, সেটি মনে করিয়ে দিলেন তাসকিন, ‘আমরা যদি বিশ্বকাপে সব ম্যাচও জিতি, তখনো আমি বলব, আমরা এখনো উন্নতির খোঁজে আছি। সহজ ছিল না। শেষের দিকে ছোট ছোট কিছু জুটি সাহায্য করেছে। আমরা হয়তো আজ জিতে গিয়েছি। তবে আমাদের ১০-১৫ রান কম হয়েছে। আমরা ভালোভাবে ফিরতে পেরেছি। সামনের ম্যাচগুলোতে চেষ্টা করব আমরা যেন আরও কম ভুল করি, আরও ভালো করতে পারি।’

বোলিং আক্রমণের উন্নতির কথাটা আলাদা করে উল্লেখ করেছেন তাসকিন। বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং বিভাগের ধারাবাহিক উন্নতি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবাই উন্নতি করছি। শুধু উন্নতি নয়, আমরা সবাই বিশ্বাস করি, একদিন বিশ্বমানের পেস বোলিং ইউনিট হব। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বলে বলে ভালো করা কঠিন। এক দিন একটু রান বের হবে, আরেক দিন ম্যাচ জেতাব। প্রক্রিয়াটা ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’

গত কয়েক বছরে নিজেকে ঘষেমেজে বদলেছেন তাসকিন
ছবি: শামসুল হক

তাসকিন নিজেও ঘষেমেজে নিজেকে বদলে ফেলেছেন গত কয়েক বছরে। বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের নেতৃত্বটাও এখন তাঁর কাঁধে। আর সে দায়িত্ব তিনি সামলাচ্ছেন পারফরম্যান্স দিয়ে। তবে তাসকিনের চোখ আরও ওপরে, ‘আরও উন্নতি করতে হবে। এখনো আমার অনেক উন্নতি করার আছে। আমি পরিপূর্ণ ক্রিকেটার হতে চাই। আমি যখন যেটা চাই, দুই দিকে সুইং করানো, দলের জয়ে অবদান রাখা, এটাও আমার লক্ষ্য। আমি চাই আরও দুই ধাপ ওপরে যেতে। সব দেশেই বিশ্বমানের বোলার আছে। আমাদেরও আছে। আমরা যদি আরও এক ধাপ ওপরে যেতে পারি, তাহলে সবাই আমাদেরও মূল্য দেবে। এটাই মূল লক্ষ্য।’