কে হচ্ছেন টেস্ট অধিনায়ক, কী বলছেন বিসিবি সভাপতি
ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে নাজমুল হোসেনকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। তখন বোর্ডের চাওয়া ছিল, তিন সংস্করণে তিন অধিনায়ক। তাঁদের সঙ্গে একমত না হওয়ায় গত জুনে টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান নাজমুল। এরপর টেস্টে আর কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ।
আগামী মাসের শুরুতেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে এই সংস্করণের অধিনায়ক কে হচ্ছেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। গুঞ্জন আছে, বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম চান নাজমুলই যেন অধিনায়কত্ব চালিয়ে যান। এ নিয়ে নাজমুলের সঙ্গে তাঁর বসার কথাও শোনা যাচ্ছে।
তবে নাজমুলের সঙ্গে কোনো আলোচনা হওয়ার বিষয়টি আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অস্বীকার করেছেন আমিনুল, ‘আমার সঙ্গে (নাজমুলের) এ বিষয়ে কথা হয়নি।’
কীভাবে নতুন টেস্ট অধিনায়ক বেছে নেওয়া হবে সেই প্রক্রিয়া অবশ্য চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি, ‘আমরা যেটা পলিসি নিয়েছি সেটা হচ্ছে, কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলব। বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেট অপারেশনস কথা বলবে, নির্বাচকেরা কথা বলবে, কোচিং স্টাফের শীর্ষ সদস্য যাঁরা আছেন তাঁরা কথা বলবে। কথা বলে যে অধিনায়ক তাঁরা মনে করবে মানানসই, সেই অধিনায়কেরও তা (নেতৃত্ব) গ্রহণ করতে হবে। তারপর সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নাজমুলের সঙ্গে আলোচনায় আছে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের নামও। কিন্তু ওয়ানডেতে টানা খারাপ পারফরম্যান্সে মিরাজের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শ্রীলঙ্কার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষেও তাঁর নেতৃত্বে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেরেছে দল, যে ম্যাচের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
তবে ওয়ানডেতে মিরাজকে সময় দিতে চান আমিনুল, ‘একেবারে নতুন অধিনায়ক। আমরা সবাই জানি মিরাজের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি আছে। ওকে একটু সময় দিতে হবে। আর খেলায় তো জয়–পরাজয় থাকবেই। অধিনায়কের যে ম্যাচুরিটি দেখা যায়, বোঝা যায়, তাঁর মধ্যে সেই সম্ভাবনা আছে।’
কিন্তু আপাতত পরিসংখ্যান মিরাজের পক্ষে কথা বলছে না একদমই। নিজের প্রথম ১০ ম্যাচে মাত্র দুটি জিতেছেন। এ নিয়ে প্রশ্নে আমিনুল বলেছেন, ‘আজকালকার দুনিয়া ডেটা ড্রিবেন (সংখ্যানির্ভর), অবশ্যই সেটা দেখা উচিত। তবে উইকেট, পরিস্থিতি, দল, কম্বিনেশনের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে।’