বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম ছেড়ে যাওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন নাফিস ইকবাল

নাফিস ইকবালছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান নাফিস ইকবাল কয়েক বছর ধরেই জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ম্যাচের মাঝে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুম ছেড়ে চলে যান নাফিস ইকবাল।

বাংলাদেশের হয়ে ১১ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলা নাফিস জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া তামিম ইকবালের বড় ভাই। গতকাল দিবাগত রাত ২টা ১৮ মিনিটে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে ড্রেসিংরুম ছেড়ে যাওয়ার সেই ঘটনার ব্যাখ্যা দেন নাফিস ইকবাল।

আরও পড়ুন

ইংরেজিতে বেশ বড় একটি স্ট্যাটাস দেন নাফিস। সেটি বাংলায় তুলে ধরা হলো, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে আমি আবেগের বশে জাতীয় দল ছেড়ে চলে যাই। ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডের দিন সকালে আমাকে জানানো হয়েছিল, বিশ্বকাপগামী বহরে আমি থাকছি না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও একই ঘটনা ঘটেছে।’‘আমিও মানুষ। বাকি সবার মতো আমারও আবেগ আছে।’

‘আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং ছোট ভাই তামিম ইকবালের সঙ্গে যা ঘটছে, তার সঙ্গে আমার এই কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। মাঠ থেকে আমার চলে যাওয়ার ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হয়।’
‘সেদিন আমি বিসিবির সব রকম নিয়ম ও আচরণবিধি পুরোপুরি মেনেছি। মাঠে আসার আগে আমি বিষয়টি সবার আগে প্রধান কোচকে জানিয়েছি এবং বিসিবির সংশ্লিষ্ট অফিশিয়ালদেরও জানাই।’

‘আমি নিশ্চিত করতে চাই, সেদিন কোনো কাজই অর্ধেক সম্পন্ন করা হয়নি, যেমন ম্যাচের খেলোয়াড় তালিকায় সই করা, নিউজিল্যান্ড সিরিজে হিসাব বিভাগের কাগজপত্রের ঝামেলা মেটানো এবং বিশ্বকাপের জন্য আমাকে যে দৈনিক ভাতা দেওয়া হয়েছিল, সেটাও ফিরিয়ে দিয়েছি।’

‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এমন সব মুহূর্তে সম্মান প্রাপ্য এবং আসল ঘটনা না জেনেই মন্তব্য করা ঠিক না।’

‘নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে সৎ ছিলাম। আমি নিশ্চিত করছি নিজের সেরাটাই দেব এবং সব সময় এটাই করব।’

আরও পড়ুন