সাকিবের ফেরার ম্যাচে জয়ের দেখা পেল মোহামেডান

আজ মোহামেডানের হয়ে মাঠে নেমেছেন সাকিব আল হাসানছবি: সংগৃহীত

অনেকটা ‘জরুরি উদ্ধার কার্যক্রমে’র তাড়না নিয়েই শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় উড়ে এসেছিলেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর রনি তালুকদার। মোহামেডান স্পোর্টিং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট তালিকার তলানিতে যেভাবে ডুবে আছে, তাতে সাকিবের মতো উদ্ধারকর্তাই খুঁজছিলেন সমর্থকেরা।

আজ বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সেই ‘উদ্ধার কার্যক্রমে’ নেমেছিলেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৯ বলে ৫ রান আর বল হাতে ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেটবিহীন—সাকিব নিজেই হয়তো খুব বেশি সন্তুষ্ট হবেন না। তবে আপাতত উদ্ধার হয়ে গেছে মোহামেডান। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়েছে ২২ রানে।

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এটিই মোহামেডানের প্রথম জয়। এর আগে প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছিল তারা, একটি পণ্ড হয়েছিল বৃষ্টিতে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শেষ করেই ঢাকায় চলে আসা মোহামেডানের তিন ক্রিকেটারই আজ মাঠে নেমেছেন। শেখ জামালের হয়ে খেলেছেন তৌহিদ হৃদয়। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯০ রান তোলে মোহামেডান।

প্রিমিয়ার ডিভিশনে লিগে শেখ জামালকে হারিয়ে প্রথম জয় তুলেছে মোহামেডান
ছবি: সংগৃহীত

ওপেনিংয়ে নেমে রনি তালুকদার খেলেন ৪৪ বলে ৩২ রানের ইনিংস। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেট ক্যাচ দেন রনি। তিনে পাঠানো হয় মিরাজকে। ১২ বলে ৫ রান করে সাইফ হাসানের বলে ক্যাচ দেন তিনি। চারে নেমে সাকিবও সুবিধা করতে পারেননি। ৫ রান করে ভারতীয় অফ স্পিনার পারভেজ রসুলের অফস্পিনে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন।

১১৫ রানে তিন উইকেট চলে যাওয়ার পর মোহামেডানের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ। ইমরুল ১০১ বলে ৮৬ আর মাহমুদউল্লাহ ৫১ বলে ৪৮ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর দলকে বাকি পথটা টেনে নেন আরিফুল হক (৩১ বলে ৩৯*) ও জ্যাক লিনটট (১০ বলে ২৪*)।

বল হাতে ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেট পাননি সাকিব
ছবি: সংগৃহীত

রান তাড়ায় শেখ জামালের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। সাইফ হাসান আর সৈকত আলীর জুটি ১৮ ওভারে তুলে ফেলে ৮৩ রান। শুরুতেই বল হাতে নেওয়া সাকিব অবশ্য রানের লাগাম টানার চেষ্টা করেছেন। নিজের প্রথম ৬ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১২ রান। সাকিবের পর শেখ জামালকে আটকান বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান। উইকেট মাত্র একটি করে নিলেও রান খরচ করেন ওভারপ্রতি চারের আশপাশে।

উইকেট নেওয়ার কাজটি করেন লিনটট ও আবু জায়েদ। লিনটট ৩ উইকেন নেন ৭২ রানে, আবু জায়েদের তিন উইকেট ৮৩ রানে। শেষ পর্যন্ত ৪৯.২ ওভারে ২৬৮ রানে অলআউট হয় শেখ জামাল।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ বলে ৬৩ রান করেন পারভেজ রসুল। চার নম্বরে নেমে হৃদয় করেছেন ৫ বলে ২ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মোহামেডান: ৫০ ওভারে ২৯০/৭ (ইমরুল কায়েস ৮৬, মাহমুদউল্লাহ ৪৮, আরিফুল হক ৩৯*, রনি তালুকদার ৩২; পারভেজ রসুল ২/৩৭, আরিফ আহমেদ ২/৫৯)।

শেখ জামাল: ৪৯.২ ওভারে ২৬৮/১০ (পারভেজ রসুল ৬৩, সাইফ হাসান ৫৮, ফজলে মাহমুদ ৩৬, সৈকত আলী ২৬; লিনটট ৩/৭২, আবু জায়েদ ৩/৮৩)।

ফল: মোহামেডান ২২ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: জ্যাক লিনটট।

আরও পড়ুন