উইলিয়ামসন-রাচিনে সেঞ্চুরির রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের, দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৩৬৩ রানের লক্ষ্য
রাচিন রবীন্দ্র সেঞ্চুরি করারই কথা। আইসিসি টুর্নামেন্ট মানেই যে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কের ইনিংস ছোঁয়ার কথা কেইন উইলিয়ামসনেরও। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের দুই দেখায়ও যে সেঞ্চুরি করেছেন।
আজ লাহোরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রবীন্দ্র খেলেছেন ১০৮ রানের ইনিংস, উইলিয়ামসন ১০২। দুজনের সেঞ্চুরির সুবাদে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছে নিউজিল্যান্ড।
যে রেকর্ডের পথ ধরে আগে ব্যাট করে কিউইরা ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৬২ রান তুলেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ এটি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে জেতার জন্য রেকর্ড রানই তাড়া করা লাগবে।
দুই সেঞ্চুরিয়ান রবীন্দ্র ও উইলিয়ামসন দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছেন ১৬৪ রানের জুটি, যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ (আগের সর্বোচ্চ ২০০৪ আসরে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নাথান অ্যাস্টল ও স্কট স্টাইরিসের ১৬৩)।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১২ রানের ইনিংস খেলা রবীন্দ্র আজ তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ৯৩ বলে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তাঁর পঞ্চম সেঞ্চুরি, সব কটিই আইসিসি টুর্নামেন্টে। মাত্র ১৩ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি করে ভারতের শিখর ধাওয়ানের দ্রুততম পাঁচ সেঞ্চুরির (১৫ ইনিংসে) রেকর্ডও ভেঙেছেন রবীন্দ্র।
তবে নিউজিল্যান্ডের দলীয় রেকর্ড হয়েছে উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে। আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৮১ রান করে আউট হওয়া এই ব্যাটসম্যান প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ৯১ বলে। যা এবারের আসরে তাঁর জন্য প্রথম হলেও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পঞ্চম। অন্য চারটির দুটি রবীন্দ্রর, একটি করে টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াংয়ের।
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আর কোনো আসরে কোনো দল এত বেশি সেঞ্চুরি করতে পারেনি। ২০০৬ আসরে ৪টি সেঞ্চুরি করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা।
রবীন্দ্র–উইলিয়ামসনের রেকর্ড গড়া জুটি ভাঙে কাগিসো রাবাদার বলে রবীন্দ্র ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিলে (১৩ চার ও ১ ছয়ে ১০১ বলে ১০৮)। সেঞ্চুরির পর উইলিয়ামসনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। উইয়ান মুল্ডারের বলে এনগিডির হাতে ক্যাচ দেন ৯৪ বলে ১০ চার ও ২ ছয়ে ১০২ রান করে।
দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির সুবাদে ৪০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ২৫২। শেষ ১০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস।
মিচেল ৩৭ বলে ৪৯ রান করে ফিরলেও ফিলিপস অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৪৯ রান করে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছয়। শেষ ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ড তোলে ১১০ রান। যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান এনে দেয় দলটিকে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেটে ৩৫৬, এবারের আসরে লাহোরেই।