কোহলি, স্মিথ বা রুট নন, শাহিন আফ্রিদি সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ মনে করেন এই ব্যাটসম্যানকে

পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদিআইসিসি

সময়ের সেরা প্রায় সব ব্যাটসম্যানের বিপক্ষেই খেলেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। জো রুট, বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ, কেইন উইলিয়ামসন—আউট করেছেন ফ্যাব ফোর হিসেবে খ্যাত এই চারজনকেই। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ কাকে মনে হয়েছে তাঁর?

আফ্রিদির উত্তরটা একটু চমকে যাওয়ার মতো। তাঁরা কেউ নন। পাকিস্তানি পেসারের চোখে সবচেয়ে কঠিন ব্যাটসম্যান এক দক্ষিণ আফ্রিকান, যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন বেশ আগে। হাশিম আমলা।

কোহলির বিপক্ষে কখনো টেস্ট খেলা হয়নি আফ্রিদির। এই সংস্করণে দীর্ঘদিন ধরে মুখোমুখি হয় না ভারত-পাকিস্তান। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৭ ম্যাচে কোহলির মুখোমুখি হয়েছেন আফ্রিদি। আউট করেছেন দুইবার। একসময় দুজনের দ্বৈরথটা দেখার এক অন্য রকম আনন্দ ছিল। এখন অবশ্য সেটা দেখার সুযোগ অনেক কমে গেছে। বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। কোহলি-আফ্রিদি দ্বৈরথ তাই এখন দেখার সুযোগ একমাত্র ওয়ানডেতে।

শাহিন আফ্রিদি
এএফপি

তিন সংস্করণ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথের বিপক্ষে ১২ ম্যাচ খেলে আফ্রিদি তাঁকে আউট করেছেন দুইবার, ইংল্যান্ডের জো রুটের বিপক্ষে ১০ ম্যাচ খেলে একবার, নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসনের বিপক্ষে ১৮ ম্যাচ খেলে তিনবার।

তবে তাঁরা কেউ নন, বোলিং করতে গিয়ে আফ্রিদির সবচেয়ে কঠিন মনে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলাকে। কেন? ‘ব্রিকস টু রিচেস এশিয়া’ নামে এক পডকাস্টে আফ্রিদি দিয়েছেন সেই ব্যাখ্যাও, ‘আমি তাঁর বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলেছি, তিনি সত্যিই দারুণ এক ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডে ভাইটালিটি ব্লাস্ট টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও তাঁর বিপক্ষে একটা ম্যাচও খেলেছি। আমার মনে হয়েছে, তিনি নিজের কাজটা দুর্দান্তভাবে করেন। বিরাট কোহলি আলাদা ধাঁচের ব্যাটসম্যান। কিন্তু হাশিম ভাই অনেক বেশি কঠিন। কঠিনতম।’

সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার হাশিম আমলা
রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আমলা (জ্যাক ক্যালিস ও ডি ভিলিয়ার্স যথাক্রমে এক ও দুই নম্বরে)। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১২৪টি টেস্ট, ১৮১টি ওয়ানডে এবং ৪৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে তাঁর মোট রান ১৮,৬৭২।  ৫৫টি সেঞ্চুরি ও ৮০টি হাফ সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা আমলার বিপক্ষে ৭ ম্যাচ খেলে আফ্রিদি তাঁকে আউট করেছেন দুইবার।
এখন যেহেতু আর আমলার মুখোমুখি হতে হয় না, আফ্রিদি নিশ্চয়ই স্বস্তিতে আছেন।