টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় বড় জয় এখন নিউজিল্যান্ডের

নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেয়ে মাঠ ছাড়ছেন নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরাজিম্বাবুয়ে ক্রিকেট

রেকর্ড আর রেকর্ড!

জিম্বাবুয়ে-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টটা রেকর্ডময়ই হয়ে রইল। তবে রেকর্ডগুলো নিয়ে গর্ব করবে শুধু নিউজিল্যান্ডই। জিম্বাবুয়ে চাইবে ভুলে যেতে।

গতকাল দ্বিতীয় দিনটা ৩ উইকেটে ৬০১ রান নিয়ে শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। আজ আর ব্যাটিংয়ে নামেনি দলটি, সেখানেই ঘোষণা করেছে ইনিংস। ৪৭৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা জিম্বাবুয়ে অলআউট ১১৭ রানে। এর মানে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা ইনিংস ও ৩৫৯ রানে জিতল নিউজিল্যান্ড।

নিজেদের ৯৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে নিউজিল্যান্ডের এটিই সবচেয়ে বড় জয়। ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে বড় ব্যবধানে জয় আছে মাত্র দুটি। ১৯৩৮ সালে ওভালে ইংল্যান্ডকে ইনিংস ও ৫৭৯ রানে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় বড় জয়টি এ শতকের ঘটনা। ২০০২ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইনিংস ও ৩৬০ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

টেস্টে সবচেয়ে বড় জয়

নিউজিল্যান্ডের আগের বড় দুটি জয় এসেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০১২ সালে নেপিয়ারে জিম্বাবুইয়ানদের ইনিংস ও ৩০১ রানে হারায় কিউইরা। এর আগে ২০০৫ সালে হারারেতে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ইনিংস ও ২৯৪ রানে।

আরও পড়ুন
অভিষেকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ম্যাচসেরা বোলিং এখন জ্যাকারি ফোকসের
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট

নিউজিল্যান্ডের যেমন সবচেয়ে বড় জয়, তেমনি জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় হারও এটি। ঘটনাক্রমে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় তিনটি হারই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান নিক ওয়েলচ। এ ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন শুধু অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন (১৭)।

নিউজিল্যান্ডের পেসার জ্যাকারি ফোকস ৩৭ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ম্যাচে ৭৫ রানে ৯ উইকেট নিয়ে টেস্ট অভিষেকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ম্যাচসেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন ২৩ বছর বয়সী পেসার। এতে পেছনে পড়লেন গত বছর হ্যামিল্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেকে ৯৩ রানে ৯ উইকেট নেওয়া আরেক পেসার উইল ও’রুর্ক।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষিক্ত কোনো খেলোয়াড় এই প্রথম এক ম্যাচে ৯ উইকেট পেলেন। আগের রেকর্ডটা ছিল আইজাজ চিমার। ২০১১ সালে বুলাওয়েতে অভিষেকেই ১০৩ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার চিমা।