মানবাধিকার না ২ পয়েন্ট—অস্ট্রেলিয়াকে জিজ্ঞাসা আফগান পেসারের

অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলএএফপি

খোঁচাটা খুব চিন্তা করেই দিয়েছেন আফগানিস্তান পেসার নাভিন-উল-হক। আগামীকাল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ডেভিড ওয়ার্নার-স্টিভ স্মিথদের মুখোমুখি হবে আফগানরা। যারা এরই মধ্যে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছে।

অস্ট্রেলিয়াও আছে ফর্মের তুঙ্গে। প্রথম দুই ম্যাচে যাচ্ছেতাইভাবে হারার পর শেষ পাঁচ ম্যাচে জিতেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ১০ পয়েন্ট তুলে প্যাট কামিন্সরা সেমিফাইনালের পথে অনেক দূর এগিয়েও গেছেন। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নাভিনের খোঁচাটা তাদের খেতেই হচ্ছে। ২৪ বছর বয়সী এই পেসারের জিজ্ঞাসা, অস্ট্রেলিয়া কী এখন দুটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নাকি মানবাধিকার চায়।

প্রেক্ষাপট না জানলে নাভিনের এই প্রশ্ন শুনে গোলমেলে লাগতে পারে অনেকের। হঠাৎ মানবাধিকারের প্রসঙ্গটা কেন টানলেন আফগান পেসার?

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবান শাসন শুরু হওয়ার পর দেশটির রক্ষণশীল নীতি পশ্চিমা দুনিয়ায় সমালোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে ধর্মীয় ব্যাপারে কট্টর তালেবানরা নারীদের পড়াশোনা, চাকরি ও খেলাধুলা নিয়ে নানা বাধা আরোপের কারণে আফগানিস্তান বৈশ্বিক অঙ্গনে প্রায় একঘরে হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে নারীদের নিয়ে আফগান কর্তৃপক্ষের রক্ষণশীল নীতির বিরোধিতায় দুই দফায় আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাতিল করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। প্রথমবার ২০২১ সালের নভেম্বরে হোবার্ট টেস্ট, দ্বিতীয়বার চলতি বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়ানডে সিরিজ।

আফগান পেসার নাভিন–-উল-হক
এএফপি

এ সব ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আফগান ক্রিকেটাররা। খেলায় রাজনীতি টেনে না আনার আহবান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন মোহাম্মদ নবী, হাশমতউল্লাহ শহীদিরা। রশিদ খান তো বিগ ব্যাশে অংশ নেওয়া নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন
নাভিন উল হকের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট

দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না খেললেও অস্ট্রেলিয়াকে এখন বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আর এ নিয়েই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে খোঁচা মেরেছেন নাভিন, ‘দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাতিল করার পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে কী করে, তা দেখার অপেক্ষায়।’ হ্যাশট্যাগে যুক্ত করে দিয়েছেন একটি প্রশ্ন— ‘মানবাধিকার না ২ পয়েন্ট’।

এর আগে আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার রশিদ খানও অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ক্রিকেট আমাদের একমাত্র আশার জায়গা। দয়া করে ক্রিকেটকে রাজনীতির বাইরে রাখুন।’

আরও পড়ুন