দুই বছর পর স্টোকসের ব্যাটে সেঞ্চুরি

সেঞ্চুরির পর বেন স্টোকসএএফপি

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের পর তাঁর ব্যাটিং নিয়ে বড়সড় প্রশ্নই তুলেছিলেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল আথারটন। খেলেন শুধু টেস্ট, তাতেও যদি সিরিজের পর সিরিজ সেঞ্চুরি না থাকে— সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই।

আজ ভারতের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের চতুর্থ দিনে সেই ব্যাটিং–প্রশ্নেরই যেন জবাব দিলেন বেন স্টোকস। দিনের প্রথম সেশনেই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, যা টেস্টে টানা দুই বছর ও ৩৫ ইনিংস পর তাঁর প্রথম।

ম্যাচের প্রথম দিন টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে চমকে দিয়েছিলেন স্টোকস, কারণ এই মাঠে টস জিতে ফিল্ডিং করা দল কখনো জিততে পারেনি।

এরপর ভারতের প্রথম ইনিংস ৩৫৮ রানে গুটিয়ে দিতে বল হাতে বড় ভূমিকাও তাঁরই, পেস বোলিংয়ে নেন ৫ উইকেট। তবে ৩৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে সবচেয়ে বড় যে আলোচনা, সেটি তাতে ঢাকা পড়েনি।

সেই ২০২৩ সালের জুনে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লর্ডসে ১৫৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেটি ছিল টেস্টে তাঁর ১৩তম সেঞ্চুরি। কিন্তু এরপর থেকে স্টোকসের ব্যাটে তিন অঙ্কের ইনিংস ‘উধাও’।

আরও পড়ুন

স্টোকসের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠার বড় কারণ তাঁর টেস্ট–কেন্দ্রিকতাও। ২০২২ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এ দুই সংস্করণে আর খেলেননি। পুরো মনোযোগ রেখেছেন টেস্টে।

কিন্তু সিরিজের পর সিরিজ ধরে ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে পারছিলেন না। লর্ডসে সেঞ্চুরির পর পরবর্তী ৩৫ ইনিংসে ৬ বার পঞ্চাশ পার করেছেন, দুবার করেছেন ৮০–ও।

অবশেষে দীর্ঘ বিরতির পর সেঞ্চুরির দেখা মিলল আজ। গতকাল টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে স্টোকস অপরাজিত ছিলেন ৭৭ রানে। আজ দিনের ১১তম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করেন ১৪তম টেস্ট সেঞ্চুরি।

ব্রাইডন কার্সের কাঁধে হাত রেখে সেঞ্চুরি উদ্‌যাপন বেন স্টোকসের
এএফপি

এই সেঞ্চুরিতে স্টোকস নাম লিখিয়েছেন অলরাউন্ড কীর্তির এক ঝলমলে তালিকায়। ইয়ান বোথাম, টনি গ্রেগ ও গাস অ্যাটকিনসনের পর ইংল্যান্ডের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে এক টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেটের সঙ্গে করেছেন সেঞ্চুরি।

আর টেস্ট ইতিহাসে এমন কিছু করেছেন মাত্র পঞ্চম অধিনায়ক হিসেবে। স্টোকসের আগে ম্যাচে ৫ উইকেট ও সেঞ্চুরি দুটিই পাওয়া অধিনায়কেরা হচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেনিস অ্যাটকিসন (১৯৫৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) ও গ্যারি সোবার্স (১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) এবং পাকিস্তানের মুশতাক মোহাম্মদ (১৯৭৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) ও ইমরান খান (১৯৮৩ সালে ভারতের বিপক্ষে)।

আরও পড়ুন