এরপর ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলেন মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে তাঁদের পরিকল্পনা। এর আগে জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশারও এমন ব্যাখ্যাই দিয়েছিলেন। আজ হাথুরুসিংহে যেমন বললেন, ‘আমরা বিশ্বকাপের আগে খেলোয়াড়দের পুল বড় করতে চাচ্ছি, যাতে করে বিশ্বকাপের আগে কিছু ঘটলে আমাদের কাছে যথেষ্ট খেলোয়াড় থাকে, যাদের আমরা নির্দিষ্ট কোনো কাজ করতে বা ভূমিকা পালন করতে দেখেছি।’
হাথুরু বলে চলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে মাত্র ১৫টি ম্যাচ আছে বলে আমাদের তাড়াহুড়ো করতে হয়েছে। যারা ভূমিকাটা পালন করতে পারবে, তাদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) এখনো বিবেচনার মধ্যে আছে। আমরা এভাবেই দেখছি ব্যাপারটা।’
কিন্তু মাহমুদউল্লাহর জায়গায় যাঁদের বাজিয়ে দেখা হবে, তাঁরা পারফর্ম করলে সে ক্ষেত্রে কী হবে ২১৮টি ওয়ানডে খেলা মাহমুদউল্লাহর? হাথুরুসিংহের উত্তর, ‘উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন। আমরা রিয়াদের ব্যাপারে কী ভাবছি, আপনারা সেটি খুঁজে বের করতে চাইছেন। যেমনটি বললাম, রিয়াদ যথেষ্ট করেছে। তার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। আমরা জানি, সে কী করতে পারে।’
এরপর যোগ করেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানের অন্য খেলোয়াড়দের তুলে আনতে চাই। এটা শুধু স্কিলের ব্যাপার নয়। এ পর্যায়ে তাদের সেই ভূমিকা পালন করার সামর্থ্য আছে কি না, সেটি দেখার ব্যাপার। এর মানে এই নয় যে কেউ ভালোভাবে পারফর্ম করলে মাহমুদউল্লাহর সময় শেষ। সে এখনো আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে আছে।’
একাদশে মাহমুদউল্লাহর পজিশনের জন্য মূলত ভাবা হচ্ছে তৌহিদ হৃদয়, ইয়াসির আলীদের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হওয়া হৃদয় এখনো ওয়ানডে খেলার অপেক্ষায়। অন্যদিকে দল থেকে বাদ পড়া ইয়াসিরকে ফেরানো হয়েছে আবার। অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা জাকির হাসান সিরিজ শুরুর আগেই ছিটকে যাওয়ার পর ডাকা হয়েছে ওয়ানডেতে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা আরেক ব্যাটসম্যান রনি তালুকদারকে।
নতুনদের কীভাবে খেলতে দেখতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে আজ হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘তারা ঘরোয়াতে যে স্বাধীনতা নিয়ে খেলে, সেভাবেই খেলতে পারে। স্থানীয় টুর্নামেন্টে তারা কী করতে পারে, সেটি দেখেই তাদের নেওয়া হয়েছে। যেমন একটা নির্দিষ্টভাবে তাদের ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য, পারফরম্যান্স, পেস ও স্পিনের বিপক্ষে রেকর্ড। তারা যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এটি করতে পারে, সেই মানসিক আস্থা আমরা তাদের দিচ্ছি।’
কোচের কথা শুনে বা টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে দেওয়া বার্তায় মাহমুদউল্লাহ কতটা আস্থা পাচ্ছেন, সে প্রশ্ন করাই যায়।