কেমন ছিল ডমিঙ্গোর তিন বছর চার মাস

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় ডমিঙ্গোর সময়ের সবচেয়ে বগ সাফল্যছবি: টুইটার

শেষই হয়ে গেল রাসেল ডমিঙ্গো–অধ্যায়। ভারতের বিপক্ষে সিরিজই যে তাঁর শেষ অ্যাসাইনমেন্ট, এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত বিসিবি নিয়ে ফেলেছিল আগেই। দক্ষিণ আফ্রিকান কোচের সম্মানজনক বিদায়েরই উপায় খোঁজা হচ্ছিল, সেই সুযোগ ডমিঙ্গো নিজেই করে দিয়েছেন পদত্যাগ করে। গতকাল রাতে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে ই–মেইল করে জানিয়ে দেন, তিনি আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ থাকছেন না।

সংকুচিত করে আনা হয়েছিল ডমিঙ্গোর দায়িত্ব
ছবি: প্রথম আলো

গত পরশু রাতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান এক অনুষ্ঠানে ডমিঙ্গোর পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু জাতীয় দল নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা বলে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছিলেন। বিসিবি সভাপতির কথায় ব্যাপারটি স্পষ্ট না হলেও বিসিবি সূত্রে জানা যায়, ডমিঙ্গো বিদায় নিচ্ছেন।

ডমিঙ্গোর অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ
ছবি: এএফপি

২০১৯ সালের আগস্টে ডমিঙ্গো বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যদিও শুরুর দিকে তাঁর অধীনে খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে হারতে হয়েছিল। পাকিস্তানে বাংলাদেশ হেরেছে টি–টোয়েন্টি সিরিজ ও টেস্ট। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর অধীনে এসেছে তিনটি জয়। এর একটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। তবে প্রোটিয়া কোচের অধীনে ২২ টেস্ট খেলে ১৭টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ড্র আছে ২টি। টি–টোয়েন্টিতেও খুব সফল তিনি নন। ৫৯টি টি–টোয়েন্টি খেলে ৩৫টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, জিতেছে ২৩টি। একটিতে কোনো ফল হয়নি।

আরও পড়ুন

দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয় তাঁর এই সংস্করণে সবচেয়ে বড় সাফল্য। ডমিঙ্গো অবশ্য নিজেকে সত্যিকার অর্থে সফল দাবি করতে পারেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। তাঁর সময়ে ৩০টি ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ২১টিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এ বছর ওয়ানডে সিরিজ জয়, তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য। বাংলাদেশের কোচ হিসেবে তাঁর শেষ অ্যাসাইনমেন্টেও ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সিরিজ জয় এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও।

এ মাসেই ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ
শামসুল হক

২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু তাঁর ওপরই আস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু এ বছরের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টি–টোয়েন্টি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ভারতের শ্রীধরন শ্রীরাম। টি–টোয়েন্টি দল থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয় ডমিঙ্গোকে। এর আগে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে সাবেক হেড কোচ জেমি সিডন্সের নিয়োগও তাঁর কাজ অনেকটাই সংকুচিত করে দিয়েছিল।