ভারত ম্যাচ নিয়ে ‘চাপে নেই’ বাবররা
চাপ, চাপ আর চাপ! মঞ্চ যেটা আর যখনই হোক, ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ মানেই যেন অনন্ত চাপে থাকা। এটা দুই দলের খেলোয়াড়দের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য। অনন্ত সেই চাপ ওয়ানডে বিশ্বকাপে হয়তো সামলাতে পারেন না পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা। তাই তো ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হওয়া সাতটি ম্যাচে কোনো জয় নেই পাকিস্তানের।
আরেকটি বিশ্বকাপে আগামীকাল আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত–পাকিস্তান। এ নিয়ে আয়োজিত পাকিস্তান দলের সংবাদ সম্মেলনে বেশির ভাগ প্রশ্নই হয়েছে চাপ নিয়ে। এই ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়েরা কতটা মানসিক চাপে থাকেন, পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা সেই চাপ কীভাবে সামলাবেন—এমন সব প্রশ্ন করা হয়েছে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে।
চাপ নিয়ে প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবেই সামলাতে পেরেছেন বাবর। এ নিয়ে বাবরকে প্রথম প্রশ্নটি ছিল এ রকম—এটা এমন একটা ম্যাচ, যে ম্যাচের ফলে মানসিক বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটা নিয়ে আপনি আপনার ছেলেদের (সতীর্থ) কী বলেছেন
এই প্রশ্নের উত্তরে বাবর বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ বড় ম্যাচই। এটা ঝাঁজালো এক ম্যাচ। আমি তাদের শুধু বলেছি যে আমাদের সেরা সুযোগটা এনে দাও। তোমাদের সেরা যা আছে, সেটা দাও। দল হিসেবে আমাদের এই বিশ্বাস আছে যে আমরা নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারব। এটা আমাদের জন্য সমর্থকদের সামনে ভালো পারফর্ম করা আর নায়ক বনে যাওয়ার সোনালি এক সুযোগ।’
ভিসা–জটিলতার কারণে পাকিস্তানের খুব বেশি সমর্থক ভারতে যেতে পারেননি। ১ লাখ ৩২ হাজার আসনের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে তাই খুব বেশি পাকিস্তানি সমর্থক থাকার কথা নয়। বিপুলসংখ্যক ভারতীয় সমর্থকদের সামনে খেলাটাও তো বিরাট চাপ হয়ে আসার কথা বাবরদের জন্য। এই চাপ সামলাবেন কী করে পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা?
বাবর এ নিয়ে বলেছেন, ‘এটা কোনো চাপ নয়। কারণ, আমরা আগেও অনেক দর্শকের সামনে খেলেছি। এমসিজির মতো মাঠেও খেলেছি। আমি ধরেই নিয়েছি, আহমেদাবাদে শুধু নীলই (ভারতের জার্সির রং) দেখা যাবে। পাকিস্তানের সমর্থকেরা সেখানে থাকলে আমাদের জন্য ভালোই হবে।’
বিশ্বকাপে ভারতের কাছে জিততে না পারা নিয়ে বাবর বলেছেন, ‘অতীতে আমরা পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কিন্তু ২০১১ বিশ্বকাপে (আসলে ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) এবং ২০১৯ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে (আসলে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) এটা পাল্টাতে পেরেছি।’