‘পাকিস্তানি’ উসমান খাজাকে এখনো ভিসা দেয়নি ভারত

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজাফাইল ছবি

অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে ভারত সফরের বিমানে উঠতে পারছেন না উসমান খাজা। এখনো পর্যন্ত ভিসা পাননি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই তারকা ব্যাটসম্যান।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) জানিয়েছে, খাজার ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে। তবে সিএ আশা করছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে খাজা ভিসা পেয়ে যাবেন এবং ভারতে রওনা দিতে পারবেন। তিনি ভারত সফরের জন্য ঘোষিত অস্ট্রেলীয় দলের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি এখনো ভিসা পাননি।

আরও পড়ুন

এদিকে নিজের ভিসা না পাওয়ার ব্যাপারটি কৌতুককর দৃষ্টিতে দেখছেন খাজা। তিনি টুইটারে একটি মিম পোস্ট করেছেন এ ব্যাপারে। সেই মিমে ভিসার জন্য খাজা নিজের অনিশ্চিত অপেক্ষাটি তুলে ধরেছেন।

গত বছরের সেরা অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছেন খাজা
ছবি: এএফপি

সিএ অবশ্য আশা করছে, খাজা বুধবারের মধ্যেই ভিসা পেয়ে যাবেন। বৃহস্পতিবার সেটি হিসাব করে তাঁর জন্য ফ্লাইটও বুকিং দেওয়া আছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে নাগপুরে শুরু হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার চার টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টটি। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি—এই নামের এ সিরিজ নিয়ে এরই মধ্যে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে।

৩৬ বছর বয়সী খাজা সম্প্রতি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ‘শেন ওয়ার্ন পুরস্কার’ পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার সেরা পুরুষ টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গত এক বছরে খাজা ৭৮.৪৬ গড়ে ১০২০ রান করেছেন।

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে ভারত যাচ্ছে। মঙ্গলবার প্রথম দলটি ভারতের পথে রওনা হয়েছে। আজ বুধবার দ্বিতীয় দলটির যাওয়ার কথা। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, ভারত সফরের জন্য অস্ট্রেলীয় দলের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করা হয় জানুয়ারি মাসের শুরুতেই।

আরও পড়ুন

দেরি করে ভারতীয় ভিসা পাওয়ার ঘটনা খাজার ক্ষেত্রে আগেও ঘটেছে। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে ভারত সফরে যেতে সমস্যা হয়েছিল খাজার। পরে বিশেষ হস্তক্ষেপে তাঁকে ভিসা দেওয়া হয়। ভারতীয় ভিসার পূর্বশর্ত হিসেবে আবেদনপত্রে একটি বিশেষ প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। সেটি হচ্ছে, আবেদনকারীর মা–বাবা পাকিস্তানি কি না। এ জায়গাতেই হয়তো বারবার আটকে যান খাজা।

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে জন্ম উসমান খাজার। ১৯৮৯ সালের দিকে তাঁর মা–বাবা অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। তখন থেকে অস্ট্রেলিয়াতেই স্থায়ী তাঁরা। খাজার বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়াতেই।