রোহিত শর্মা থাকলে হয়তো এ ম্যাচেও খেলা হতো না ঈশান কিষানের। আগের দুই ম্যাচে বসেই ছিলেন। ২৪ বছর বয়সী তরুণের এটি ছিল মাত্র দশম ম্যাচ, সেটিতেই খেললেন স্মরণীয় এক ইনিংস। তবে এরপরও ভারত দলে নিশ্চিত নয় এই বাঁহাতির জায়গা।

রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলিদের মতো পরীক্ষিত পারফরমাররা যখন টপ অর্ডারে আছেন, তাঁর জায়গা পাওয়া কঠিনই। কিষান নিজেও সেটি জানেন, বাস্তবতা মেনেও নিয়েছেন। অবশ্য দলে জায়গা প্রসঙ্গে এটিও উল্লেখ করলেন, তিনি কিন্তু এখন ২০০ করেছেন!

আরও পড়ুন

কিষান-ঝড়ের পর চট্টগ্রামে ভাঙল যেসব রেকর্ড

গত বছর ভারতের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল কিষানের, তবে সেটি ছিল মূলত দ্বিতীয় সারির দল। ভারতের মূল দল তখন ব্যস্ত ছিল ইংল্যান্ড সফরে। এরপর সর্বশেষ যে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলেছেন, সেটিরও বাস্তবতা ছিল ভারতের ঠাসা সূচিই।

কিষানের উদ্‌যাপন
ছবি: শামসুল হক

অবশ্য আজ সংবাদ সম্মেলনে কিষান বললেন, বাস্তবতা জানেন তাঁরা ভালোভাবেই, ‘এটা ভালো দিকই। আমরা ম্যাচ খেলছি, কিন্তু সিনিয়র দলে এলে…এখানেও যেমন প্রথম দুই ম্যাচে খেলিনি। আপনাকে আপনার সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে এ মুহূর্তে এর বেশি কিছু চাওয়ার নেই। যখনই সুযোগ পাই না কেন, আমাদের চেষ্টা করতে হবে সর্বোচ্চটা দেওয়ার।’

আরও পড়ুন

‘ভালো উইকেটে খেললে অবশ্যই বড় দলের বিপক্ষে ব্যর্থ হবেন’

১০ ম্যাচের ক্যারিয়ারেই কিষান খেলেছেন তিনটি ভিন্ন পজিশনে। আজ যেমন দ্বিতীয়বারের মতো এসেছিলেন ওপেন করতে। আপাতত যে পজিশনই হোক, সুযোগ পাওয়াটাই বড় তাঁর কাছে, ‘সবাই নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়েই জায়গা করে নিয়েছে। সবাই ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে খেলেই এখানে এসেছে। কোনো একটা নির্দিষ্ট পজিশনেই খেলব, এমন তাই বলতে পারি না। এ পর্যায়ে সুযোগ কাজে লাগানোটাই বড়। সুযোগই তো আসে অনেক কম। বড় খেলোয়াড় তখনোই বড় হয়, যখন এমন সুযোগগুলো কাজে লাগায়।’

আরও পড়ুন

কিষানের তিন শ করতে না পারার আক্ষেপ

এমন একটি ইনিংসের পরও তাই কিষান নিজেও জানেন না, পরের ম্যাচটি কবে খেলবেন। তাঁর হয়ে কথা বলবে তাঁর পারফরম্যান্স, পুরোনো কথাটিও বললেন আরেকবার, ‘সুযোগ পেলেই ভালো করা, এটিই তো করতে পারি না। আর সব খেলোয়াড়ের মতো আমিও এটিই চাই, নিজে কথা বলব না, ব্যাটই কথা বলবে। এটিই ঠিক করে দেবে, আমার জায়গা হবে কি না। অবশ্য এখন তো ২০০ করে ফেললাম। তো দেখা যাক, কী হয়!’

আরও পড়ুন

ব্যাটিং শৃঙ্খলার খোঁজে বাংলাদেশ

কিষানের শেষের ওই কথা শুনে হাসির রোল পড়ল সংবাদ সম্মেলনে। কিষান নিজেও হাসলেন। ক্যারিয়ারের দশম ম্যাচেই ২১০ রানের ইনিংসের পর আরেকটি সুযোগ পেয়েই সেটির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করার পরও যখন দলে জায়গা নিশ্চিত নয়, তখন কিষানের আর কীই-বা করার থাকে হাসা ছাড়া!