‘মিচেল স্টার্ক হতে চাই না, ভালো আবেশ খান হতে চাই’

আবেশ খানবিসিসিআই

ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের জয় প্রায় নিশ্চিত মনে হচ্ছিল। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের করা ১৮০ তাড়া করতে নেমে যশস্বী জয়সোয়াল ততক্ষণে ৭০ পেরিয়ে গেছেন। এর আগে ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী মাত্র ২০ বলে করে গেছেন ৩৪ রান। তাঁদের ব্যাটে চড়ে রাজস্থান যখন প্রায় জয়ের বন্দরে, গল্পটা বদলে দিলেন আবেশ খান।

শেষ ৩ ওভারে রাজস্থানের দরকার ছিল মাত্র ২৫ রান। মঞ্চে এলেন আবেশ। ১৮তম ওভারে দিলেন মাত্র ৫ রান, তুলে নিলেন জয়সোয়াল ও রিয়ান পরাগকে। প্রিন্স যাদবের করা পরের ওভার থেকে ১১ রান নিল রাজস্থান। শেষ ওভারে আবার আবেশের হাতে বল।

জয়সোয়ালকে ফিরিয়ে আবেশের উল্লাস
বিসিসিআই

৬ বলে ৯ রান দরকার রাজস্থানের জয়ের জন্য। ব্যাটিংয়ে শিমরন হেটমায়ার ও ধ্রুব জুরেল। কিন্তু আবেশ ছিলেন অবিচল। একের পর এক ইয়র্কার! মাঝে বল পাল্টাতে গিয়ে খেলা একটু বন্ধও থাকল, কিন্তু তাতেও মনোযোগ কমেনি আবেশের। তাঁর শেষ ওভারটা ছিল এ রকম—১, ২, উইকেট, ০, ২, ১। মানে দিলেন মাত্র ৬ রান, উইকেট নিলেন আরও একটা। ২ রানের হারে রাজস্থান হতভম্ব, লক্ষ্ণৌ দলে উল্লাস!

আরও পড়ুন

কদিন আগেই এই রাজস্থানের বিপক্ষে শেষ ওভারে দারুণ বল করেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। রাজস্থানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান, ৮ রান দিয়ে স্টার্ক ম্যাচ নিয়ে গিয়েছিলেন সুপার ওভারে। তারপর সেই ম্যাচ জিতেছিল দিল্লি।

দিল্লির ম্যাচ জয়ের উল্লাস
বিসিআইআই

কাল আবেশের দুর্দান্ত বোলিং মনে করিয়ে দিয়েছে স্টার্ককে। আসলেই কি স্টার্কের মতো হতে চান? আবেশের বিনয়ী উত্তর, ‘আমি মিচেল স্টার্ক হতে চাই না। আমি শুধু ভালো আবেশ খান হতে চাই।’
ম্যাচের একটা সময় হাতে বল লেগেছিল তাঁর। প্রচণ্ড ব্যথাও পেয়েছিলেন। বললেন সেই ব্যথা নিয়েই বোলিং করার কথাও, ‘মনে হচ্ছিল হাতটাই ভেঙে গেছে। চোখে শর্ষে ফুল দেখতে পাচ্ছিলাম!’

আরও পড়ুন