এক বলেই দুটি রিভিউ—অশ্বিনের অদ্ভুত কাণ্ড!

অশ্বিনের সৌজন্যে দেখা গেছে এক বলেই দুটি রিভিউছবি: সংগৃহীত

কী একটা সময়ই না পার করছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন! র‌্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর বোলার হয়েও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দলে জায়গা পাননি। একাদশে জায়গা না পাওয়া এই অশ্বিন ফাইনালের প্রতিদিনই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে

ওভালে ভিন্ন সেই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া অশ্বিন দেশে ফিরে ঘটিয়েছেন চমকপ্রদ এক কাণ্ড। অশ্বিনের সৌজন্যে দেখা গেছে এক বলেই দুটি রিভিউ! তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে গতকাল বুধবার এই ঘটনা ঘটিয়েছেন অশ্বিন।

ভারত অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শেষ হয়েছে ১১ জুন। লন্ডন থেকে অশ্বিন দেশে ফেরেন ১৩ জুন। নিজের শহর চেন্নাই থেকে অশ্বিন গতকাল কইম্বাটোরে ম্যাচের ভেন্যুতে পৌঁছান খেলা শুরুর খানিক আগে। শুধু একজন খেলোয়াড়ই নন, অশ্বিন তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগের দল দিন্দিগুল ড্রাগনসের অধিনায়কও।

আরও পড়ুন

সেই ম্যাচের ১৩তম ওভারে দিন্দিগুল ড্রাগনসের অধিনায়ক অশ্বিনের একটি ক্যারম বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি ব্যাটসমান রাজকুমার। উইকেটের পেছনে বল গ্লাভসবন্দী করেন কিপার বাবা ইন্দ্রজিৎ। অন ফিল্ড আম্পায়ার কট বিহাইন্ডের সিদ্ধান্ত দেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ব্যাটসম্যান রাজকুমার রিভিউ নেন।

রিভিউর টিভি রিপ্লে দেখে সেই সিদ্ধান্ত বদলে দেন তৃতীয় আম্পায়ার। এই আম্পায়ারের দাবি, আল্ট্রাএজ-এ বড় স্পাইক ব্যাট টার্ফে লাগার কারণে হয়েছে। ‘ব্যাট-বলের মধ্যে স্পষ্ট ফাঁক আছে’ জানিয়ে মাঠের সিদ্ধান্ত বদলে দেন টিভি আম্পায়ার। অশ্বিন সেই সিদ্ধান্তে খুশি না হয়ে আবার রিভিউ নেন।

তবে আবারও একই কারণ দেখিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন টিভি আম্পায়ার। এই সিদ্ধান্ত অবশ্য ম্যাচে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। ১২১ রান তাড়ায় অশ্বিনের দল জেতে ৬ উইকেটে। সেই ব্যাটসম্যান রাজকুমার করেন ২২ বলে ৩৯ রান। অশ্বিন নিয়েছেন ২৬ রানে ২ উইকেট। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন ৩ উইকেট নেওয়া বরুণ চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন

কেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের রিভিউ নিয়েছেন অশ্বিন, ম্যাচ শেষে সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। ভারতীয় এই স্পিনার বলেছেন, ‘বড় পর্দায় দেখে আমার এটাকে আউট মনে হয়েছিল। এই টুর্নামেন্টে ডিআরএস নতুন চালু হয়েছে। ব্যাটে বল লাগলেও সাধারণত স্পাইক (আল্ট্রাএজ-এ) ফুটে ওঠে ব্যাটে স্পর্শ করার ঠিক আগে। মাঠের সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার জন্য তো স্পষ্ট প্রমাণ লাগবে। তারা সেটি বদলে দেওয়ায় আমি কিছুটা অসন্তুষ্ট ছিলাম। এ জন্য রিভিউ নিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম, তারা হয়তো অন্য কোণ থেকেও দেখতে পারে।’

এটি  তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম আসর। তবে এবারই প্রথম ডিআরএস, আল্ট্রাএজ, ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটারের নিয়ম চালু হয়েছে।

আরও পড়ুন