টেলরের আত্মজীবনীতে শেবাগের ‘চিংড়ি টিপস’

রস টেলরের আত্মজীবনী থেকে এবার উঠে এল বীরেন্দর শেবাগের ‘চিংড়ি টিপস’ছবি: এএফপি

রস টেলরের আত্মজীবনী বোমা ফাটিয়ে যাচ্ছে। বইয়ে তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে বর্ণবাদ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। আইপিএলেও নিজেকে নিয়ে ঘটা এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে ভারতের সাবেক তারকা বীরেন্দর শেবাগকে নিয়ে এমন একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, যেটিতে পাঠকেরা আনন্দ পাবেনই। মজার সেই অভিজ্ঞতাটি ১০ বছর আগের।

২০১২ আইপিএলের ঘটনা সেটি। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে (এখন দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম দিল্লি ক্যাপিটালস) খুব একটা ভালো করতে পারছিলেন না টেলর। এমন একটা সময় দিল্লিতে শেবাগের রেস্তোরাঁয় দলের সবার সঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। আত্মজীবনীতে টেলর সেটিই লিখেছেন বেশ রসিয়ে রসিয়ে।

‘দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে ২০১২ সালে আইপিএল খেলতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার ফর্ম খুব ভালো যাচ্ছিল না। রান পাচ্ছিলাম না। অথচ বীরেন্দর শেবাগ দারুণ ফর্মে ছিলেন। মাঠের নানা দিকে বল পাঠাচ্ছিলেন পিটিয়ে। এক রাতে আমরা শেবাগের রেস্তোরাঁয় খেতে যাই। সেদিন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নির্ধারণী সেই ম্যাচটি চলছিল—ম্যানচেস্টার সিটি ও কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স। রেস্তোরাঁর বড় পর্দায় আমার সতীর্থরা সবাই বুঁদ হয়ে ছিল শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা উপভোগে। সে ম্যাচে সের্হিও আগুয়েরো যোগ করা সময়ে গোল করে সিটিকে ৪৪ বছর পর শিরোপা এনে দেন। আমি অবশ্য টেবিলের এক কোনায় বসে চিংড়ি খাচ্ছিলাম।’

শেবাগের সেই অদ্ভুত টিপসের কথা ভুলতে পারেন না শেবাগ
ফাইল ছবি

টেলর বড় অঙ্কেই সেবার দিল্লির হয়ে খেলছিলেন। সে কারণে যে তিনি বেশ স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন, সেটি তাঁর আত্মজীবনী ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’–এ উল্লেখ করেছেন তিনি। রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পরদিন আইপিএলে একটা ম্যাচ ছিল দিল্লির, সেদিন শেবাগ ছিলেন তাঁর ব্যাটিং সঙ্গী। টেলরকে চাপে ভুগতে দেখে শেবাগ বলেছিলেন, ‘আরে, এত চাপ নিয়ো না। এমনভাবে ব্যাটিং কর যেন তুমি চিংড়ি খাচ্ছ।’

শেবাগের ব্যাটিং নিয়ে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটে টেলর লিখেছেন, ‘শেবাগ এমনভাবে খেলতেন, যেন ক্রিকেটটা তাঁর শখ। তিনি মজা করে খেলছেন। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছেন।’

এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন টেলর
ছবি: এএফপি

গত এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন টেলর। নিজের আত্মজীবনীতে তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকে বড় একটা অভিযোগেই অভিযুক্ত করেছেন। মায়ের দিক দিয়ে পলিনেশিয়ান আদিবাসী সামোয়ানদের রক্ত বইছে তাঁর শরীরে। সে কারণেই নাকি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুমে তিনি নানা ধরনের বর্ণবাদী মন্তব্যের শিকার হয়েছেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের টেস্ট ও ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী এই ক্রিকেটার তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটটা সাদাদের খেলা। আমি ছিলাম ভ্যানিলা লাইনআপে বাদামি মুখ।’

আইপিএল নিয়েও অভিযোগ আছে তাঁর আত্মজীবনীতে। ২০১১ সালে রান না পাওয়ায় নাকি এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক তাঁকে চড় মেরেছিলেন।