বাংলাদেশকে ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে’ মনোযোগ দিতে বলছেন আকরাম
বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই পরিচিত ওয়াসিম আকরাম। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স তাতে তিনি কিছুটা হতাশই। পাকিস্তানের কিংবদন্তি এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলছেন। কড়া সমালোচনা করতেও ছাড়ছেন না।
ওয়াসিম আকরাম এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল ‘এ স্পোর্টসে’ বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের পর আকরামের মনে হচ্ছে, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সেভাবে কোনো ভালো ব্যাটসম্যান তৈরি করতে পারেনি। তিনি ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও উন্মাদনাকে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতি মনোযোগ দিতে বলেছেন।
বাংলাদেশ দলের দুজন ব্যাটসম্যানের নাম উল্লেখ করে আকরাম বলেন, ‘এটা আমার কাছে খুব অদ্ভুত লাগে যে বাংলাদেশ সর্বশেষ পাঁচ বছরে কোনো ভালো ব্যাটসম্যান তৈরি করতে পারেনি। লিটন দাস অনেক বছর ধরেই খেলছেন, নাজমুল হোসেনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০–৬০ ম্যাচ এরই মধ্যে খেলে ফেলেছে।’
আকরাম এই সমস্যার জন্য বাংলাদেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের দুর্বলতাকে দায়ী করছেন, ‘আমি চাইব, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতি মনোযোগী হয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিনিয়োগ বাড়ায়।’
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কাল আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ৩৮৪ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে মাহমুদউল্লাহ ১১১ রান করলেও সেটি ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। দলের সংগ্রহটা একটু ভদ্রস্থ হয়েছে এই যা। ২৩৩ রান তুলে ১৪৯ রানে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। প্রোটিয়া ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। ক্লাসেন খেলেছেন ৪৯ বলে ৯০, মিলার ১৫ বলে ৩৪। ওয়াসিম আকরামের অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটসম্যানের এমন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলারদের জন্য সহানুভূতিই ঝরেছে, ‘বাংলাদেশের বোলাররা খুব খারাপ বোলিং যে করেছ, এটা বলব না আমি। হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের প্রতি আমার কিছুটা সহানুভূতিই আছে। এখন ডেথ ওভারে ব্যাটসম্যানরা ক্রিজের ভেতরে গিয়ে দাঁড়ায়। আমাদের সময় ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াত ক্রিজের বাইরে। আমাদের সময় লো ফুলটসকে ভালো বল ধরা হতো। এখন ব্যাটসম্যানরা লো ফুলটসও মেরে দেয়।’