নিউজিল্যান্ডের কাছে ধবলধোলাই ইংল্যান্ড, গড়ল বিব্রতকর রেকর্ডও
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে শেষ ওয়ানডেতেও হারল ইংল্যান্ড। ওয়েলিংটনে আজ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডকে ২২৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল ইংল্যান্ড।
শেষ পর্যন্ত দুই কিউই পেসার জাকারি ফোকস ও ব্লেয়ার টিকনারের ব্যাটে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই (৩–০) করল নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডেতে এ নিয়ে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয়বার ধবলধোলাই করল কিউইরা। প্রথম ধবলধোলাই করেছিল ১৯৮৪ সালে।
হারের এই ম্যাচে বিব্রতকর এক রেকর্ডও গড়েছে ইংল্যান্ড। এই সিরিজে তিন ম্যাচ মিলিয়ে ইংল্যান্ডের প্রথম চার ব্যাটসম্যান মিলে মাত্র ৮৪ রান করেছেন। পুরুষদের ওয়ানডে সিরিজে বা টুর্নামেন্টে (যেখানে অন্তত তিনটি ইনিংসে ব্যাটিং করেছে) কোনো দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯৮৮ এশিয়া কাপে, বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যান মিলে করেছিলেন ৮৯ রান।
তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ভালো শুরু পেয়েছিল। ১২.৫ ওভারে ৭৮ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কনওয়ে ৩৪ রানে রানআউট হলে জুটিটি ভাঙে। রবীন্দ্রর শট বোলার জেমি ওভারটনের হাতে লেগে নন–স্ট্রাইকের স্টাম্পে লাগে। তখন কনওয়ে ছিলেন ক্রিজের বাইরে। একইভাবে আউট হয়েছেন টম ল্যাথামও। দুটি রানআউট এবং ওভারটন ও স্যাম কারেনের দারুণ বোলিংয়ে একটা সময়ে ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের ১৯৬ রানে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ড্যারিল মিচেল আউট হলে ম্যাচ ইংল্যান্ডের দিকেই হেলে পড়ে। তবে নবম উইকেটে দুই পেসার ফোকস ও টিকনারের ৩৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডই জয় পায়। ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও কারেন।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড আজও ৫০ ওভার খেলতে পারেনি। সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডেতে ৩৬ ওভারের মধ্যে অলআউট হওয়া ইংলিশরা আজ খেলতে পেরেছে ৪০.২ ওভার। সেটাও বোলিং অলরাউন্ডার ওভারটনের কল্যাণে। এই ম্যাচেও দারুণ খেলেছেন ওভারটন—৬২ বলে করেন ৬৮ রান। ৮ নম্বরে নামা এই ব্যাটসম্যান তিন ম্যাচের সিরিজে রান করেছেন ১৫৬, যা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে সিরিজে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
বোলারদের জন্য সহায়ক উইকেটে আজও মুখ থুবড়ে পড়েছে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার। এক পর্যায়ে তাদের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৪৪ রান। এরপর দলটি ১০২ রানে হারায় ৭ উইকেট। তবে সেখান থেকে ওভারটনের ৬৮, কার্সের ৩৬ ও জফরা আর্চারের ১৬ রানে ২২২ রান তুলতে সমর্থ হয় ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৪০.২ ওভারে ২২২ (ওভারটন ৬৮, কার্স ৩৬; টিকনার ৪/৬৪, ডাফি ৩/৫৬) নিউজিল্যান্ড: ৪৪.৪ ওভারে ২২৬/৮ ( রবীন্দ্র ৪৬, মিচেল ৪৪; ওভারটন ২/৩২, কারেন ২/৪৬)ফল: নিউজিল্যান্ড ২ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: ব্লেয়ার টিকনার সিরিজসেরা: ড্যারিল মিচেল সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ৩–০ তে জিতল নিউজিল্যান্ড।