আহমেদাবাদে গুজরাটকে গুঁড়িয়ে পন্তের দিল্লির রেকর্ড জয়

আহমেদাবাদে গুজরাটকে গুঁড়িয়ে দিয়ে জিতেছে দিল্লিএএফপি

পয়েন্ট তালিকার ৬ ও ৯ নম্বর দলের মধ্যে পার্থক্য ছিল শুধু একটি জয়। লড়াইটা হওয়ার কথা ছিল হাড্ডাহাড্ডিই। তবে ৯ নম্বর দল দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ঘরের মাঠে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণই করল গত দুবারের ফাইনাল খেলা গুজরাট টাইটানস। আহমেদাবাদে মৌসুমের সর্বনিম্ন ৮৯ রানে গুজরাটকে গুটিয়ে দেওয়ার পর দিল্লি জিতেছে ৬ উইকেটে।

এ মৌসুমে এর আগে সর্বোচ্চ ২৭ বল বাকি রেখে জিতেছিল মুম্বাই ও রাজস্থান। দিল্লির জয় সেখানে এসেছে ৬৭ বল বাকি থাকতে! এর আগে কোনো মৌসুমে এত বল হাতে রেখে জেতেনি দিল্লি, গুজরাটও হারেনি এভাবে। এ হারের পর সাতে নেমে গেছে গুজরাট, দিল্লি উঠে এসেছে ৬ নম্বরে।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল গুজরাট। দ্বিতীয় ওভারে ইশান্ত শর্মার বলে কাভারে অধিনায়ক শুবমান গিল ক্যাচ তোলেন, গুজরাটের ধসের শুরু সেটি দিয়েই। প্রথম ৫ ওভারেই তারা হারায় ৪ উইকেট—গিলের পর ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহা, সাই সুদর্শন ও ডেভিড মিলার। শুরুর সে ধসের চাপ আর সামাল দিতে পারেনি তারা।

মৌসুমের সর্বনিম্ন ৮৯ রানেই গুটিয়ে গেছে গুজরাট
এএফপি

আটে নামা রশিদ খানের ২৪ বলে ৩১ রানের ইনিংসই গুজরাটের সর্বোচ্চ, ১৩৩.৩৩-এর ওপর স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করতে পারেননি কেউই। ইনিংসে গুজরাটের একমাত্র ছক্কাটি মেরেছেন রশিদই। তাঁর ইনিংসের সময় অন্তত ১০০ পেরুবে গুজরাট—মনে হচ্ছিল এমন। মুকেশ কুমারের বলে রশিদ আউট হওয়াতে সেটি হয়নি আর।

আরও পড়ুন

১৭.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় গুজরাট। আইপিএলে তৃতীয় মৌসুম খেলা দলটির এখন এটিই সর্বনিম্ন স্কোর, আগের সর্বনিম্ন ছিল ৯ উইকেটে ১২৫ রান।

আগের ম্যাচে চোট পাওয়ায় খেলতে পারেননি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার, কিন্তু তাঁর অভাব আসলে টেরই পায়নি দিল্লি। দ্বিতীয় ওভারেই থামেন জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, কিন্তু এর আগেই করেন ১০ বলে ২০ রান। গুজরাটের হয়ে অভিষিক্ত সন্দীপ ওয়ারিয়ের আউট করেন দিল্লির দুই ওপেনারকে, সেটি হয়ে থেকেছে সান্ত্বনা হিসেবেই।

আরও পড়ুন

পাওয়ারপ্লেতে গুজরাটের মতো দিল্লিও হারায় ৪ উইকেট, কিন্তু তার আগেই তারা তুলে ফেলেছে ৬৭ রান। অধিনায়ক ঋষভ পন্তের ১১ বলে ১৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে দাপুটে জয় পেতে আর কোনো ঝামেলা হয়নি দিল্লির।

এমন পারফরম্যান্সের দায় নিজেদের ওপরই নিয়েছেন গুজরাট অধিনায়ক গিল, ‘আমাদের ব্যাটিং খুবই গড়পড়তা ছিল। এ ম্যাচকে পেছনে ফেলে দ্রুতই এগিয়ে যেতে হবে। উইকেট ঠিকঠাকই ছিল। যদি আমাদের আউটের ধরন দেখেন—আমার, সাহা ও সাইয়ের পিচের সঙ্গে কোনো সম্পর্কই ছিল না।’