ঘরের মাঠে জাকিরের ব্যাটে রান, জয়ের ধারায় সিলেট

৪৬ বলে অপরাজিত ৭৫ রান করে দলকে জিতিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সিলেটের জাকির হাসানশামসুল হক

ঢাকা পর্বে একটি ম্যাচই খেলেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচে ওপেনার রনি তালুকদারের ৩৬ বলে ৪১ রান ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেননি সিলেটের আর কোনো ব্যাটসম্যান। তবে ঘরের মাঠে ফিরেই রান পেতে শুরু করেছেন দলটির ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে জাকির হাসান। জাকির রান পেতে শুরু করেছেন, সিলেটও ফিরেছে জয়ের ধারায়।

সিলেট পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ফিফটি পেয়েছেন জাকির, ফিফটি পেয়েছেন রনিও। সেই ম্যাচে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করেও অবশ্য ৮ উইকেটে হেরেছে সিলেট। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে আবার তেমন রান পাননি সিলেটের ব্যাটসম্যানরা, বরিশালের কাছে সিলেটও হেরেছে। পরের ম্যাচে জাকিরের ফিফটিতে (২৭ বলে ৫৮ রান) ঢাকাকে হারিয়েছে সিলেট। আজ আবার ফিফটি করেছেন জাকির। ৪৬ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় তাঁর অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সিলেট জিতেছে ৮ রানে।

ফিফটি পেয়েছেন রনি তালুকদারও
প্রথম আলো

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রনি (৪৪ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৫৬ রান) ও জাকিরের ফিফটিতে ৫ উইকেটে ১৮২ রান তোলে সিলেট। ১৫ রানের মধ্যে সিলেট ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে রনি ও জাকির মিলে ৬১ বলে তোলেন ১০৬ রান। এ জুটিই মূলত ম্যাচটি জিতিয়েছেন সিলেটকে।

রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তুলতে পারে খুলনা। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দলটির, ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। খুলনা ২৪ রানে দ্বিতীয় আর ৪৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর গ্যালারি উল্লাসে ফেটে পড়ে। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে উইলিয়াম বোসিস্টো ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ৩৩ বলে ৩৪ রানের জুটি কিছুটা হলেও সিলেটের সমর্থকদের উল্লাসে ভাটা আনে। কিন্তু ১৭ রানের মধ্যে এই দুজনই ফিরে গেলে ৫ উইকেটে ৯৮ রান হয়ে যায় খুলনার।

নেওয়াজের আউটের পর তাঁর সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয় তাঁকে আউট করা তানজিমের
প্রথম আলো

সিলেটের তখন ৪০ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮৫ রান। ম্যাচটা সামান্য হলেও সিলেটের দিকেই ঝুঁকে ছিল। সেটা খুলনার দিকে অনেকটাই নিয়ে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ নেওয়াজ ও মাহিদুল ইসলাম। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১৭ বলে ৩২ রান করেন তাঁরা। জুটি ভাঙে তানজিম হাসানের বলে নেওয়াজের আউটে। আউট হয়ে ফেরার সময় তানজিমের সঙ্গে একটু কথা-কাটাকাটিও হয় নেওয়াজের। এই তর্কের কারণ, উইকেট পাওয়ার পর তানজিমের উদ্দাম উদ্‌যাপন। আর তানজিমের অমন উদ্‌যাপনের কারণ, আউট হওয়ার আগে তাঁর ১ ওভারে ১ ছয় ও ২ চারে ১৭ রান নিয়েছিলেন নেওয়াজ।

আরও পড়ুন

নেওয়াজের আউটের পরও খুলনাকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন আবু হায়দার। শেষ ওভারে খুলনার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। মাহিদুল প্রথম বলে সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইক পান আবু হায়দার। টানা দুটি চার মারেন তিনি। খুলনার তখন দরকার ৩ বলে ১০ রান। কিন্তু রুয়েল মিয়ার চতুর্থ বলে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ হয়ে ফেরেন আবু হায়দার। পরের বলে মাহিদুল হন রানআউট। শেষ বলে নাসুম ১ রান নিলে ৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট।

সিলেটের এটা টানা দ্বিতীয় জয়। সব মিলিয়ে ৫ ম্যাচ খেলে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সাত দলের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে আছে সিলেট। চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা আছে চারে।
৬ ম্যাচের সব কটি জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রংপুর রাইডার্স। ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ফরচুন বরিশাল আছে দ্বিতীয় স্থানে।