‘আরও এক বছর খেলতে পারে ওয়ার্নার’

পার্থ টেস্টের প্রথম দিনই শতক করেন ডেভিড ওয়ার্নারএএফপি

চাইলে আরও এক বছর খেলতে পারেন ডেভিড ওয়ার্নার, এমন বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটকিপার ইয়ান হিলি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে সিডনি টেস্ট দিয়ে অবসরে যাওয়ার কথা ওয়ার্নারের, এ সিরিজের আগে যাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এরপর পার্থে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার।

টেস্টে বেশ কিছুদিন ধরেই ফর্মহীনতায় ভোগা ওয়ার্নার আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ঘরের মাঠ সিডনিতেই অবসর নেবেন তিনি। মানে অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্ম মৌসুমের মাঝপথেই সরে দাঁড়াবেন। তবে ওয়ার্নারের এমন বিদায়ী ঘোষণা দেওয়া বা তাঁকে অবসরের সুযোগ করে দেওয়ার ব্যাপার নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন তাঁর সাবেক সতীর্থ মিচেল জনসন। বল টেম্পারিং–কাণ্ডে ওয়ার্নারের জড়িত থাকার ব্যাপারেও কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন

ওয়ার্নার টেস্টের প্রথম দিনই শতক করে দিয়েছেন সে সমালোচনার জবাব। ৩৭ বছর বয়সী এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ফিটনেসও মুগ্ধ করেছে হিলিকে। সেন রেডিওকে তিনি বলেছেন, ‘তার এই টিকে থাকার ব্যাপারটি ভালো লেগেছে। আমরা সবাই জানি সে কতটা ফিট, কারণ সে উইকেটে তার গতি ধরে রেখেছে। যেভাবে তার পা নড়েছে, যেভাবে এগিয়েছে—খুব ভালো লেগেছে আমার।’

মাঠ থেকে বিদায় বলার সুযোগ পাওয়াটা যে তাঁর প্রাপ্য, ওয়ার্নার বুঝিয়েছেন সেটিও। অবশ্য জনসনের সমালোচনার পর প্রকাশ্যেই ওয়ার্নারের সমর্থনে কথা বলে এসেছেন প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি, অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান ইয়ান হিলি
ফাইল ছবি

তবে জনসনের কথার সঙ্গে আবার একমতই ছিলেন নাকি হিলি। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার হিলি বলেছেন, ‘মিচেল জনসনের সঙ্গে এটুকু ব্যাপারে আমি একমত। সে যেটা বলেছে—কেন বিদায়, তোমার সর্বশেষ তিন বছর ভালো কাটেনি, এখন তুমি কীভাবে অবসর নেবে সেটি বাছাই করছ।’

আরও পড়ুন

হিলিই এরপর বলেছেন, ‘কিন্তু সে যদি এভাবে ব্যাটিং করে, তাহলে আরেক বছর খেলতেই পারে (আমার মনে হয়)। যতক্ষণ না সে আর না খেলতে চাইছে। এই ফুটওয়ার্ক, ভারসাম্য, ব্যাটের এই গতি—এগুলোই সে মিস করছিল যখন দরকার ছিল।’

অবশ্য ওয়ার্নার তেমন কিছু করবেন, সে সম্ভাবনা কমই। যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সফলতম উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ম্যাথু হেইডেনকে ছুঁয়ে ফেলতে আর ১৩ রান প্রয়োজন তাঁর। সব মিলিয়ে ৮৬৫১ রান করা ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এ তালিকায় তাঁর ওপরে আছেন রিকি পন্টিং, অ্যালান বোর্ডার, স্টিভ ওয়াহ ও স্টিভেন স্মিথ।