পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধ্বংস হচ্ছে ভারত, বলছেন পাকিস্তান কিংবদন্তি

ভারত ক্রিকেট দলফাইল ছবি: এএফপি

আসলেই কী তা–ই?

‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’ই কি ভারতীয় দলকে ধ্বংস করছে? সরাসরি তো এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার সরফরাজ নেওয়াজ এমনটাই মনে করেন। এশিয়া কাপে দুই দলের লড়াইয়ের আগে ভারতের চেয়ে নিজের দল পাকিস্তানকে বেশি সুস্থিতও মনে করছেন সাবেক এই তারকা। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ২ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপেই প্রথম মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।

সরফরাজ নেওয়াজ যেটা বলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটে এমন একটা আলোচনা অবশ্য আগে থেকেই আছে। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের হারের পরই এই আলোচনাটা উঠেছিল।

আরও পড়ুন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডের পর বাকি দুই ম্যাচেই বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে তো আগে থেকেই রাখা হয়নি কোহলি–রোহিতকে। এমন পরীক্ষার ফলও পেয়েছে ভারত। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে রাহুল দ্রাবিড়ের দল। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য হারের কারণে পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি। নিয়মিত অনেককে বিশ্রাম দিয়ে তরুণদের খেলিয়ে দলের জন্য সেরা কম্বিনেশন খোঁজার চেষ্টাটাই করেছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডের পর বাকি দুই ম্যাচেই বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল
ছবি: এএফপি

কোচ দ্রাবিড় স্পষ্ট করেই জানান দিয়েছিলেন নিজের ভাবনা, ‘প্রতিটা ম্যাচ, প্রতিটা সিরিজ নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতে পারি না, আমাদের বড় পরিসরে চিন্তা করতে হবে। এমন একটা সিরিজে রোহিত ও কোহলিকে খেলালে সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে না।’

তবে এমন সিদ্ধান্ত দলকে অস্থির করে তুলছে, এমন দাবিও করছেন অনেকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক হাজারের বেশি উইকেট নেওয়া সরফরাজ তেমনই একজন। লাহোরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তান দলের প্রশংসা ও ভারতের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে ভারতের সঙ্গে তুলনা করলে পাকিস্তান দলটা তুলনামূলক গোছানো। ভারতীয়রা তো এখনো তাদের সেরা কম্বিনেশনই খুঁজে পায়নি। অধিনায়ক বদল হচ্ছে, নতুন নতুন খেলোয়াড়কে দেখছে। সঠিক কোনো কম্বিনেশন নেই। আমার মনে হয় এর কারণে সঠিক কম্বিনেশনের বদলে দল ধ্বংস হচ্ছে।’

আরও পড়ুন

বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ১৪ অক্টোবর। সেই ম্যাচে চাপটা থাকবে ভারতের ওপর বলেই বিশ্বাস করেন সরফরাজ, ‘ঘরের মাঠে খেললে প্রত্যাশাটা বেশি থাকে, চাপ বেশি থাকে। ভারতের সুবিধা হচ্ছে তাদের কিছু অভিজ্ঞ পারফরমার আছে।’

২০১৩ সালের পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি ভারত। সর্বশেষ দুই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করতে পারেনি ফাইনালেও। আর দুবার ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেললেও মাঠ ছাড়তে হয়েছে হার নিয়ে। তাই শুধু পাকিস্তান ম্যাচ নয়, বিশ্বকাপজুড়েই চাপে থাকবে রোহিতের ভারত।

আরও পড়ুন