যাওয়ার রাস্তাও খোলা দেখছেন গাজী আশরাফ

প্রধান নির্বাচক হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে গাজী আশরাফ হোসেনবিসিবি

একাধিকবারই প্রশ্নটা তোলা হলো গাজী আশরাফ হোসেনের কাছে। বিসিবির নতুন প্রধান নির্বাচক তিনি। দায়িত্ব নেবেন ১ মার্চ থেকে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটের সংস্কৃতিই এ রকম দাঁড়িয়ে গেছে যে নির্বাচক কমিটি মানেই হলো চাপের মধ্যে থেকে কাজ করা। সমালোচনার চাপ তো আছেই, সেই সঙ্গে দল নির্বাচনের কাজে মাঝেমধ্যেই শোনা যায় বিসিবির শীর্ষ পর্যায়ের প্রভাব বিস্তারের কথা।

প্রশ্নটা তাই ওঠেই—প্রধান নির্বাচক হিসেবে কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন গাজী আশরাফ, কতটা স্বাধীন থাকবে তাঁর নির্বাচক কমিটি? গাজী আশরাফ অবশ্য এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে দল নির্বাচনের কাজটা তাঁরা স্বাধীনভাবেই করতে পারবেন। আর যদি সেটা না–ই পারেন, তাঁর যাওয়ার পথটাও খোলাই আছে।

নতুন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন দায়িত্ব নেবেন ১ মার্চ থেকে। তাঁর সঙ্গে নির্বাচক কমিটিতে যোগ দেবেন কমিটির নতুন সদস্য হান্নান সরকারও। তবে তার আগেই আজ বিসিবি কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন দুজন এবং সেটা অনেকটা গাজী আশরাফের উদ্যোগেই।

আরও পড়ুন
আমি বিশ্বাস করি স্বাধীনভাবে না হলে কাজ করে কোনো আনন্দ নেই। রাস্তা সব সময় খোলা আছে। আসার রাস্তা খোলা, যাওয়ার রাস্তাও খোলা।
গাজী আশরাফ হোসেন, প্রধান নির্বাচক, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান নির্বাচক কমিটিই দায়িত্বে থাকলেও অনেকটা সংবাদমাধ্যমের অনুরোধেই আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নতুন প্রধান নির্বাচক। সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নির্বাচক কমিটির নতুন আরেক সদস্য হান্নান সরকারও।

বাংলাদেশ দল নির্বাচনের দায়িত্ব এখন গাজী আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক দলের
এএফপি

সংবাদ সম্মেলনে গাজী আশরাফ বলেন, ‘স্বাধীনতা থাকবে। এই ব্যাপারে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে।’ পরে একই প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি এও বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি স্বাধীনভাবে না হলে কাজ করে কোনো আনন্দ নেই। রাস্তা সব সময় খোলা আছে। আসার রাস্তা খোলা, যাওয়ার রাস্তাও খোলা।’

আগের নির্বাচক কমিটির কাজের ধরণ নিয়ে অবশ্য কোনো মন্তব্য করেননি গাজী আশরাফ। তবে বলেছেন, ‘যেহেতু দল নির্বাচন; সেখানে অধিনায়ক, কোচ অবশ্যই সম্পৃক্ত থাকবেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে পদ্ধতি আছে, আমরা কাজটা সেটার মধ্যেই রাখার চেষ্টা করব।’

আরও পড়ুন

মিনহাজুল আবেদীনের নির্বাচক কমিটির সময় দল নির্বাচনে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রভাবের কথা শোনা যায়। তাঁর ইচ্ছা–অনিচ্ছাই নাকি বেশি প্রাধান্য পেত খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। গাজী আশরাফ অবশ্য এ প্রসঙ্গে কূটনৈতিকই থাকলেন। হেসে বলেছেন, ‘বল ইজ নট ইয়েট ডেলিভার্ড। লেট দ্য বল কাম এন্ড লেট মি প্লে দ্যা বল (বল এখনো করা হয়নি। আগে বলটা আসতে দিন, আমাকে খেলতে দিন)।’

১৯৮৬ এশিয়া কাপে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন গাজী আশরাফ
টুইটার

আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে সব বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে রাজী হননি গাজী আশরাফ। ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান জালাল ইউনুসের সঙ্গে বসে কিছু বিষয়ে পরিষ্কার হয়ে তবেই কথা বলতে চান। তবে গাজী আশরাফ জানিয়েছেন, নতুন ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। খেলোয়াড়দের বয়স ও পারফরম্যান্সের তথ্য ধরে কাজ করার পরিকল্পনা তাঁর। গাজী আশরাফ চান, আন্তর্জাতিক সূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলবেন।

নির্বাচক হান্নান সরকার আশাবাদী, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের নির্বাচক হিসেবে আট বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর জাতীয় দল নির্বাচকের দায়িত্ব পালনেও সহায়ক হবে।

আরও পড়ুন