শেষ মুহূর্তে আইসিসির সভায় নাকভি, এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার শঙ্কা
আজ বিকেলে দুবাইয়ে আইসিসির সদর দপ্তরে পৌঁছেছেন নাকভি। তিনি উপস্থিত হওয়ায় এবারের সভায় সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে বিতর্ক।
দুবাইয়ে আজ বসেছে আইসিসির ত্রৈমাসিক সভা। তবে এবারের সভায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি থাকছেন না বলে কয়েক দিন ধরে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি করে আসছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
কিন্তু সব জল্পনা উড়িয়ে শেষ মুহূর্তে সভায় যোগ দিয়েছেন নাকভি। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আজ বিকেলে দুবাইয়ে আইসিসির সদর দপ্তরে পৌঁছেছেন নাকভি। তিনি উপস্থিত হওয়ায় এবারের সভায় সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে বিতর্ক।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই খবর প্রকাশের সময়ই বৈঠকে ওই বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল বলে জানা গেছে। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হতে পারে।
নাকভি সাম্প্রতিক সময়ে আইসিসির সভা এড়িয়ে চলছিলেন। এর মধ্যে গত জুলাই মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সম্মেলনও ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, দুবাইয়ের সভাতেও তিনি অনুপস্থিত থাকবেন।
দুবাইয়েই গত ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে নবমবারের মতো এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। কিন্তু এসিসির সভাপতি নাকভির আরেক পরিচয় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে তাঁর হাত থেকে ট্রফি নেয়নি সূর্যকুমার যাদবের দল। ‘নাছোড়বান্দা’ নাকভিও ট্রফিটা নিজের কাছে রেখে দেন।
গত দেড় মাসে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কয়েক দফা নাকভিকে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে; এমনকি বিষয়টি আইসিসিতে উত্থাপনের সতর্কবার্তাও দিয়েছে। কিন্তু নাকভি ভারতীয় দলের খেলোয়াড় অথবা বিসিসিআইয়ের কোনো প্রতিনিধিকে তাঁর কাছ গিয়ে ট্রফি নিয়ে যেতে বলেছেন।
বিসিসিআই এরই মধ্যে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভারতীয় দলকে তাদের প্রাপ্য ট্রফি থেকে এত দিন বঞ্চিত রাখা তারা চুপচাপ মেনে নেবে না। বোর্ডের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ব্যাপারটি সামলাতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। ভারতের জনগণকে আমি নিশ্চিত করছি যে ট্রফি ভারতে ফিরবেই—শুধু সময়টা চূড়ান্ত হয়নি। একদিন না একদিন (ট্রফি) ফিরবেই।’
ক্রিকবাজ আরও জানিয়েছে, আজ রাতে বৈঠক শেষে এশিয়া কাপ ট্রফি হস্তান্তর নিয়ে কোনো না কোনো সিদ্ধান্ত বা সমাধান আসার সম্ভাবনা রয়েছে।