নাহিদার রেকর্ডে জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

নাহিদা একাই নিয়েছেন পাকিস্তানের ৫ উইকেটছবি: বিসিবি

কাজটা সহজ করে দিয়েছেন নাহিদা আক্তারই। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের বাঁহাতি স্পিনারের ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানের মেয়েরা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ টসে জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ৮২ রানে অলআউট করে দেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ক্ষুদ্র লক্ষ্যটা ৫ উইকেট ও ৩ বল হাতে রেখে টপকে যান বাংলাদেশের মেয়েরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিগার সুলতানার দল।

নাহিদা একাই নিয়েছেন পাকিস্তানের ৫ উইকেট, সেটাও মাত্র ৮ রান দিয়ে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা বোলিং বিশ্লেষণ এখন তাঁর। অবশ্য আগের রেকর্ডটাও নাহিদারই ছিল। কেনিয়া নারী দলের বিপক্ষে গত বছর ১২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী এই স্পিনার।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের রান তাড়ার শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। শামিমা সুলতানাকে (৫) ইনিংসের চতুর্থ ওভারে হারাতে হয়। আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে যান শামিমা। তবে মুর্শিদা টিকে ছিলেন ইনিংসের ১৫তম ওভার পর্যন্ত। যদিও দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না তিনি। আউট হওয়ার আগে ২৩ রান করেছেন ৪০ বল খেলে। তিনে নামা সোবহানা মোস্তারির ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।

মাঝের ওভারে দুই ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ নারী দল। টিকে থাকতে পারেননি স্বর্ণা আক্তার এবং সুলতানা খাতুনও। তবে অধিনায়ক নিগার সুলতানা চাপের মুখেও ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ৩ বল বাকি থাকতেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ২৮ বলে ৩টি চারে নিগার অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে।

নাহিদার উদ্‌যাপন
ছবি: বিসিবি

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটারদের দাঁড়াতেই দেননি নাহিদা। ফর্মে থাকা পাকিস্তানি ওপেনার সিদ্রা আমিনকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। আরেক ওপেনার মুনেবা আলীও (১৬) আউট হন নাহিদার বলে। পাকিস্তানকে দ্রুত রান তুলতে দেননি বাংলাদেশের অন্য স্পিনাররা। পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান তুলতে পেরেছে নিদা দারের দল।

আরও পড়ুন

মাঝের ওভারেও ছিল বাংলাদেশ দলের স্পিনারদের দাপট। দুই অভিজ্ঞ নিদা দার ও বিসমাহ মারুফ ৩১ রানের জুটি গড়লেও সেটি বড় হতে দেননি রাবেয়া খান। ইনিংসের ১৩তম ওভারে পাকিস্তান অধিনায়ককে (১৪) বোল্ড করেন এই লেগ স্পিনার। পরের ওভারে রাবেয়ার থ্রোতে রানআউট হন বিসমাহ। তাঁর ব্যাট থেকে আসে পাকিস্তান ইনিংসের সর্বোচ্চ ২০ রান।

দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে হারানোর পর আর বেশি দূর এগোয়নি পাকিস্তানের ইনিংস। ২৬ রান যোগ করতেই পরের ৬ উইকেট হারিয়ে ৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ইনিংসের শুরুর পর শেষের ধসেও নাহিদার ছিল প্রত্যক্ষ ভূমিকা। ৩.৪ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাতে মাত্র ১৯.৪ ওভারে ৮২ রানেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।