চোখে আঘাত পাওয়া ডি লিডিকে হারিসের শুভকামনা

মারাত্মক আঘাত নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ডি লিডিছবি: এএফপি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ষষ্ঠ ওভারের খেলা চলছিল। ডাচ ব্যাটসম্যান বাস ডি লিডিকে বল করছিলেন পেসার হারিস রউফ। ঘণ্টায় ১৪২ কিলোমিটার বেগে করা ওভারের পঞ্চম বলটি ছিল বাউন্সার। ঠিকঠাক সামলাতে পারেননি ডি লিডি। ডাচ ব্যাটসম্যানের হেলমেটও মুখে আঘাত পাওয়া থেকে তাঁকে বাঁচাতে পারেনি।

পরিস্থিতি কতটা ভয়ংকর ছিল লিডি ও হারিস দুজনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াতেই তা স্পষ্ট ছিল। মুখের সেই আঘাত নিয়ে দ্রুত মাঠ ছেড়ে যান লিডি।

আঘাত পাওয়া লিডিকে দেখতে ছুটে এসেছেন হারিস রউফ ও শান মাসুদ
ছবি: এএফপি

মাঠ ছাড়ার সময় এই ডাচ ব্যাটসম্যানের চোখের নিচে আঘাতের দাগটা বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছিল। ‘কনকাশন’ সতর্কতার কারণে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান লিডি। তাঁর বিকল্প হিসেবে দলে আসেন লোগান ফন বিক।

নিজের বোলিংয়ে এভাবে ব্যাটসম্যানকে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে দেখে বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন হারিসও। আইসিসির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ার সময় হারিস এগিয়ে গিয়ে লিডির সঙ্গে দেখা করেন।

লিডিকে জড়িয়ে ধরে সে সময় শুভকামনাও জানান পাকিস্তানি পেসার। এ সময় হারিস ডাচ ব্যাটসম্যানের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তুমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে।’

লিডির আঘাতের অবস্থা বোঝা গেছে পরে তাঁরই সতীর্থ ম্যাক্সওয়েল ও’ডাউডের পোস্ট করা অন্য একটি ছবিতে। খাবার টেবিলে লিডির ছবিটা তোলা হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, ডান চোখের একটু নিচে সাদা ব্যান্ডেজ করা। চোখটা প্রায় আধবোঝা।

সে ছবির নিচে অনেকেই লিডিকে শুভকামনা জানিয়েছেন। পাকিস্তানি সমর্থকেরাও তাঁর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। টুইটে কমেন্ট করে একজন লিখেছেন, ‘ভাই, আশা করি তুমি এখন ভালো আছ।’

অন্য একজন লিখেছেন, ‘দুঃখিত ভাই, এখন কেমন বোধ করছ? দ্রুত সেরে ওঠো। আশা করি এরপর তুমি ছক্কা মারবে।’

কমেন্টে অনেকে অবশ্য হারিস রউফের গতি ব্যাটসম্যানদের জন্য ভীতিকর বলেও মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘এমন গতিময় খেলা সম্ভব নয়।’