৪ রানে ১ উইকেট সাকিবের, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে লাহোর
সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন-বাংলাদেশ দলের তিনজনকে দলে নেয় লাহোর কালান্দার্স। তিনজন স্পিনার তো আর একসঙ্গে খেলাবে না বা সাকিব-মিরাজের মতো দুজন স্পিনিং অলরাউন্ডারও খেলাতে চায়নি লাহোর। বাংলাদেশের তিনজনের মধ্যে তাই আজ ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচ এলিমিনেটরে করাচি কিংসের বিপক্ষে শুধু সাকিবকেই খেলিয়েছে তারা।
সাকিব বল হাতে তাঁর কাজটা ভালোই করেছেন। ১ ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছেন। ৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। বল হাতে তাঁর ভালো করার দিনে করাচিকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠেছে লাহোর। আজ ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে তারা।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে টসে হেরে ফিল্ডিং করতে হয় লাহোরকে। শুরুতে অবশ্য লাহোরের বোলাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। করাচির অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের মারমুখী ব্যাটিংয়ের সামনে অনেকটা অসহায়ই লাগছিল শাহিন আফ্রিদি, সালমান মির্জা, জামান খানদের।
অধিনায়ক ওয়ার্নারের ৮ চার ও ৩ ছয়ে ৫২ বলে খেলা ৭২ রানের ইনিংসে ভর করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯০ রান তোলে করাচি। আর কোনো ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস না পাওয়ায় করাচির স্কোর দুই শ পেরোয়নি। জবাবে ৮ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় লাহোর।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই করাচির বোলারদের ওপর চড়াও হন লাহোরের ব্যাটসম্যানরা। ৪.৩ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৪২ রান তোলে তারা। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফখর জামান যখন আউট হন, ৮.১ ওভারে লাহোরের রান ৭৫।
উড়ন্ত এই শুরুর পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি লাহোরকে। ফখরের ২৮ বলে ৪৭ রানের পর আবদুল্লাহ শফিকের ৩৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংসে সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন সাকিবরা। শেষ দিকে দুই শ্রীলঙ্কান কুশল পেরেরা (২৪ বরে ৩০) ও ভানুকা রাজাপক্ষে (১২ বলে ২৩*) ভালো ব্যাটিং করেছেন।