দ্রুত নতুন কমিটি চান ক্রিকেটাররা, টাকা কমে যাওয়ায় ক্ষোভ

২০২৩ সালে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন নাঈমুর রহমান ও দেবব্রত পালছবি : বিসিবি

ক্রিকেটারদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় দেখভাল করে থাকে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কোয়াবের সভাপতি নাঈমুর রহমান রয়েছেন আত্মগোপনে। এ অবস্থায় সংগঠনটিকে নতুন করে গঠনের চেষ্টা শুরু হয়েছে।

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এ নিয়ে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালের উপস্থিতিতে বৈঠকও করেছেন ক্রিকেটাররা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে রাজধানীতে আছেন—এমন ৩৫–৪০ জন ক্রিকেটার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন তামিম ইকবাল, নুরুল হাসান, তাইজুল ইসলাম ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারও।

বৈঠকে কী নিয়ে আলাপ হয়েছে, জানতে চাইলে উপস্থিত এক ক্রিকেটার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, পুরো কোয়াবের কার্যক্রম নতুন করে শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। যত দ্রুত সম্ভব বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে প্রতিটি বিভাগ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি ও তাঁদের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করতে চান ক্রিকেটাররা। কোয়াবের গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য একজন আইনি পরামর্শকও নিয়োগ দেওয়া হবে।

এসবের বাইরে ক্রিকেটাররা তাঁদের পারিশ্রমিক ইস্যু নিয়ে কোয়াবের বৈঠকে কথা বলেছেন। বিপিএলে পারিশ্রমিকের বকেয়া এখনো বুঝে পাননি অনেক ক্রিকেটার। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও গত আসরের তুলনায় অর্ধেক পারিশ্রমিকে খেলতে হচ্ছে তাঁদের। এ নিয়ে বৈঠকে ক্ষোভ জানিয়েছেন কেউ কেউ।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের মে মাসে কোয়াবের কমিটি গঠন হয়। তখন ‘উপায় না পেয়ে’ নতুন করে দায়িত্ব নেন ২০১৪ সাল থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা নাঈমুর রহমান ও দেবব্রত পাল।

এখন যেহেতু ক্রিকেটাররা নতুন করে নির্বাচন চাচ্ছেন, তাহলে তাঁদের ভাষ্য কী? জানতে চাইলে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘গঠনতন্ত্র সমুন্নত রেখে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা আবারও বসব। পরবর্তী করণীয় দ্রুতই ঠিক হবে।’

আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব না ছাড়লেও নতুন করে নির্বাচন হলে বর্তমান সভাপতি নাঈমুরেরও কোনো আপত্তি থাকবে না বলে মনে করেন দেবব্রত পাল।