ব্যাটসম্যানের পকেটে থেকে পড়ল মোবাইল, এমন কিছু আগে দেখেছে কি ক্রিকেট
ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ল্যাঙ্কাশায়ার ও গ্লস্টারশায়ারের দ্বিতীয় দিনের খেলা চলছিল গতকাল। মার্কাস হ্যারিসের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে টস জিতে ব্যাট করতে নামা ল্যাঙ্কাশায়ার প্রথম দিন শেষ করে ৫ উইকেটে ৩৪২ রান তুলে। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ব্যক্তিগত ১৬৭ রানে ফিরে যান হ্যারিস।
এরপর অষ্টম উইকেট পতনের পর টেলএন্ডার হিসেবে ব্যাট করতে নামেন টম বেইলি। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলটি ডট দেন বেইলি। এরপর দ্বিতীয় বল লেগ সাইডে পাঠিয়ে দুই রানের জন্য দৌড় শুরু করেন এই ব্যাটসম্যান। এ সময় ধারাভাষ্যকাররা লক্ষ করেন যে প্রথম রান নেওয়ার সময় বেইলির পকেট থেকে কিছু একটা পড়েছে।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বেইলির পকেট থেকে আয়তাকার কিছু একটা পড়েছে। পরে দেখা গেছে এটা আসলে একটা মোবাইল ফোন। এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে এক ধারাভাষ্যকার বললেন, ‘না, এমন কিছু আমি এর আগে দেখিনি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেইলির পকেট থেকে মোবাইল ফোন পড়ার দৃশ্য বেশ ভাইরাল হয়েছে। অনেক এই ঘটনায় বেশ মজাও পেয়েছেন। আবার কেউ কেউ মোবাইল পকেটে নিয়ে খেলতে নামা সম্পর্কিত আইনের খোঁজও করেছেন। জানতে চেয়েছেন, মোবাইল রাখার কারণে বেইলির কোনো শাস্তি হবে কি না।
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ৪১.৫ নম্বর ধারা বলছে, ‘খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের জন্য নির্ধারিত বৈধ প্রযুক্তি ছাড়া অন্য কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ডিভাইস ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা যাবে না, যা মাঠের খেলোয়াড়দের সঙ্গে মাঠের বাইরে থাকা কোনো ব্যক্তির মধ্যে খেলার নির্ধারিত বা পুনর্নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম।’
এখন বেইলি এই ধারার লঙ্ঘন করেছেন কিনা, তা ‘ব্যবহার’ শব্দের ব্যাপকতার ওপর নির্ভর করে—কেউ চাইলে এমন যুক্তি দিতে পারে যে ডিভাইসটি তাঁর কাছে থাকা অবস্থায়ও তিনি মোবাইল ফোনটি ‘ব্যবহার’ করছিলেন না। যা–ই হোক না কেন, ডিভাইসটি মাঠ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
মাঠে মোবাইল ফোন নিয়ে আসার ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। কিংবদন্তি আম্পায়ার ডিকি বার্ড বলেছিলেন, একবার অ্যালান ল্যাম্ব দুর্ঘটনাবশত ফোন নিয়ে মাঠে এসেছিলেন। পরে অবশ্য সেটি বার্ডের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন, যদি কেউ ফোন করেন তবে তিনি যেন রিসিভ করে কথা বলেন।