‘ক্ষুধার্ত’ কামিন্সের চোখে এবারই ভারতকে হারানোর সেরা সুযোগ

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অধিনায়ক প্যাটছবি : এএফপি

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নিজেদের ঘরোয়া মৌসুম দারুণ কেটেছে অস্ট্রেলিয়ার। ইংল্যান্ডকে ওয়ানডেতে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট সিরিজে করেছে ধবলধোলাই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও সদস্য সমাপ্ত তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২–০ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিকেরা। সিডনি টেস্টে বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে প্রোটিয়াদেরও হয়তো ধবলধোলাই করত প্যাট কামিন্সের দল।
অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী চ্যালেঞ্জ অবশ্য দেশের বাইরে। আগামী মাসে ভারত সফরের শুরুটা হবে বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফি দিয়ে। ২০০৪ সালের পর ভারতে আর টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়ানরা। দেশটিতে খেলা সর্বশেষ ১৪ টেস্টে মাত্র একবারই জিতেছে তারা। ২০১৭ সালে সর্বশেষ সফরের প্রথম টেস্টে।

এবারও কাজটা সহজ হবে না। তবে এশিয়ার মাটিতে সাম্প্রতিক সময়ে সাফল্য পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গত বছর পাকিস্তানে গিয়ে সিরিজ জিতে এসেছেন স্টিভেন স্মিথ–ডেভিড ওয়ার্নাররা। সিরিজ ড্র করেছেন শ্রীলঙ্কায়।

অধিনায়ক কামিন্সের বিশ্বাস, ভারতে  ১৯ বছরের টেস্ট সিরিজ জয়ের খরাটা এবার কাটানো যাবে, ‘আমার মনে হয়, এবারই আমাদের জয়ের সবচেয়ে ভালো সুযোগ। কী দারুণ একটা গ্রীষ্ম গেল! মনে হচ্ছে, আমরা দারুণভাবে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় গত বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের এবারের ভারত সফরে কাজে লাগবে। সেখানে কেউ অন্ধের মতো যাবে না।’

আরও পড়ুন

ভারত সফরের আগে হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকায় নিজেদের পারফরম্যান্স নিজেরাই বিশ্লেষণ করে দেখতে চান কামিন্স, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহে আমরা সুযোগ পাব গত এক বছরের পারফরম্যান্সে ফিরে তাকাতে। এরপর তরতাজা ও ক্ষুধার্ত হয়ে ভারতে যাব। আমার মনে হয়, ওদের হারানোর এটাই সেরা সুযোগ।’
উপমহাদেশের অন্য সব পিচের মতো ভারতের পিচও স্পিনবান্ধব। ভারত সফরে যাওয়ার আগে যেকোনো দলই স্পিনে শাণ দিয়ে নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিডনি টেস্টেও অস্ট্রেলিয়া সে রকম প্রস্তুতিই নিয়েছে। পরশু টেস্টের শেষ দিনে বোলিং করেছেন পাঁচ স্পিনার।

সাংবাদিক স্ত্রী বেকি বোস্টনের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে প্যাট কামিন্সের
ছবি : টুইটার

তবে কামিন্স ভারতে তিন পেসার খেলানোরও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। তিনিসহ মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড তো থাকছেনই, অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন দলের পেস গভীরতা আরও বাড়িয়ে দেওয়া তাঁর কাছে বড় পাওয়া, ‘ওকে (গ্রিনকে) সবাই দলে রাখতে চাইবে। ভারতে প্রতিটি ম্যাচেই ভিন্নধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে নামতে হবে। হতে পারে এক ম্যাচে আমরা তিন পেসার নিয়ে খেলব, অন্য ম্যাচে মাত্র এক পেসার।’

আরও পড়ুন

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি নাগপুর টেস্ট দিয়ে শুরু ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির লড়াই। চার ম্যাচ সিরিজের পরের তিনটি দিল্লি, ধর্মশালা ও আহমেদাবাদে।