ফেবারিট ভারতকে আইসিসি টুর্নামেন্টের ব্যর্থতার কথা মনে করিয়ে দিলেন হাফিজ
ঘরের মাঠ, এর সঙ্গে শক্তি আর সামর্থ্য মিলিয়ে চলতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ফেবারিট ভারত। বিশ্বকাপের আগে থেকেই ক্রিকেট বিশ্লেষকদের চোখে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রোহিত শর্মার দল। আর প্রথম দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর সেই ভারত আত্মবিশ্বাস পেয়েছে আরও।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজও ভারতকেই ফেবারিট মানছেন। তবে একটি পাদটীকাও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অলরাউন্ডার সাম্প্রতিক সময়ের আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের বাজে পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সবাইকে।
২০১৩ সালের পর আর কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি ভারত। সর্বশেষ মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল তারা। এরপর ২০১৫ বিশ্বকাপ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ঘরের মাঠে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এরপর ২০২১ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেবারিট হয়েও তারা বিদায় নিয়েছে যথাক্রমে সুপার টুয়েলভ ও সেমিফাইনাল থেকে।
মোহাম্মদ হাফিজ ফেবারিট ভারতকে সেটাই মনে করিয়ে দিলেন। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ভারত ফেবারিট। তবে সাম্প্রতিক আইসিসি টুর্নামেন্টে তাদের পারফরম্যান্স কেমন? তারা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হেরেছে, নকআউটে ম্যাচ হেরেছে। তবে ঘরের মাঠে খেলা নিঃসন্দেহে তাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে।’
বিশ্বকাপে সফলতা পেতে কী করতে হবে সেই টোটকাও দিয়েছেন হাফিজ, ‘তাদের ছন্দ ধরে রাখতে হবে, চিন্তাভাবনায় ইতিবাচক থাকতে হবে। তাদের দলে সব ধরনের উপাদান আছে। বিভিন্ন কন্ডিশনে ভারত সেটা কাজে লাগাতে পারে।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে কে সেরা—বাবর নাকি কোহলি, এই বিতর্কে যেতে চাননি হাফিজ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি তুলনায় বিশ্বাসী নই। আমি একজনের সঙ্গে অন্য কাউকে তুলনা করি না। প্রত্যেক ক্রিকেটারের নিজস্ব পরিচয়, কৌশল ও দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার ধরন আছে। যাঁরা কোহলির সঙ্গে বাবরের তুলনা করেন, তাঁদের বলব এমন তুলনার প্রয়োজন নেই। একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারের সঙ্গে আরেকজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারের তুলনা করা উচিত নয়।
আগামীকাল আহমেদাবাদে ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। দুই দলই নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে। ভারত তাদের প্রথম দুই ম্যাচে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। অন্যদিকে পাকিস্তান হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কাকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪৪ রান তাড়া করে জিতেছিল পাকিস্তান। যেটা ছিল বিশ্বকাপে রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড।