প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দিনে বিপিএলের আমেজ

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে ট্রফি নিয়ে অধিনায়কেরাবিসিবি

সকালের কন্ডিশন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পেসারদের। স্পিনারদের কার্যকরী মনে হয়েছে। ব্যাটসম্যানরাও তাড়াহুড়ো করেছেন। অনেককে দেখে মনে হচ্ছে কদিন আগেই শেষ হওয়া বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএলের আমেজ থেকে বের হতে পারেননি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী দিনের তিনটি ম্যাচ দেখে অন্তত সেটাই মনে হলো। আবাহনীর প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ অবশ্য এ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। তিনি মনে করেন, ২-১টি ম্যাচ গেলেই ক্রিকেটাররা ৫০ ওভারের ছন্দে ফিরবে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পারটেক্সের বিপক্ষে মাহমুদের দল আবাহনী ৯ উইকেটে ২৬৮ রান করলেও দিনের অন্য দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করা দলের রান দুই শ ছাড়ায়নি। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শেখ জামালের বিপক্ষে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি অলআউট হয়েছে ১৬৭ রানে, ফতুল্লায় শাইনপুকুরের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস থেমেছে ১৯৬ রানে।

আরও পড়ুন

অল্প রানের ম্যাচ হলেও বড় কোন অঘটন ঘটেনি। মিরপুরে পারটেক্সকে ১৭১ রানের বিরাট ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী। গাজী টায়ার্সকে শেখ জামাল হারিয়েছে ৬ উইকেটে, প্রাইম ব্যাংক জিতেছে ৭১ রানে। তামিম ইকবালের দল প্রাইম ব্যাংকের ভাগ্য ভালো, টপ অর্ডার ব্যর্থতার পরও নাজমুল ইসলাম (৪০) ও রুবেল হোসেন (২৩) লড়াই করে রানটাকে নিয়ে যান দুই শ’র কাছাকাছি। শাইনপুকুরের মুকিদুল ইসলাম নিয়েছেন ৪ উইকেট।

বাকি কাজটা করেছেন প্রাইম ব্যাংকের বোলাররা। পেসার হাসান মাহমুদ ইনিংসের প্রথম ওভারেই মেডেনসহ নিয়েছেন ২ উইকেট। পরে এসে নিয়েছেন আরও ২ উইকেট। ১০ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট তাঁর। ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। সব মিলিয়ে ১২৫ রানে থেমেছে শাইনপুকুরের ইনিংস।

উদ্বোধন হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের
বিসিবি

বিকেএসপিতে গাজী টায়ার্সের ইনিংসটা লম্বা হয়েছে আশিকুর রহমানের ১৩৩ বলে ৮৯ রানে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসা এই ওপেনারের সৌজন্যে গাজী সব উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে। শেখ জামালের টিপু সুলতান নিয়েছেন ৪ উইকেট। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে গাজীর রান টপকে যায় শাইনপুকুর। সাইফ হাসান ৪৫ ও ইয়াসির আলী অপরাজিত ৪৪ রান করেছেন।

আরও পড়ুন

মিরপুরে আবাহনীকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন সাব্বির হোসেন। মোহাম্মদ নাঈম শেখের (৩৭) সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। সাব্বিরের ৭১ রান এসেছে ৫৯ বলে। মাঝের ওভারে আবাহনীর ইনিংসে ধস নামান পারটেক্সের আসাদুজ্জামান পায়েল। এই ডানহাতি পেসার দ্রুত সাব্বির, নাঈম ও আফিফ হোসেনকে আউট করলে আবাহনী কিছুটা ছন্দ হারায়। পরে অবশ্য মোসাদ্দেক হোসেন (৪২) ও সাইফউদ্দিন (৩১) জুটি গড়ে আবাহনীর রানটাকে নিয়ে যান আড়াই শ’র ওপারে। ফিল্ডিংয়ে আবাহনী ৩টি ক্যাচ ফেললেও বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম ২৬ রানে ৪ উইকেটে নিয়ে পারটেক্সকে ৯৭ রানে গুটিয়ে দেন।