ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ নেই তেমন। গ্যালারিতে বড়জোর শ খানেক দর্শক। তবে আজ তাদের অনেককেই নড়েচড়ে বসতে হয়েছে। রেকর্ড বইয়ের পাতাও হয়তো ঘাঁটতে হয়েছে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক যে ইতিহাস গড়েছে। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে দলীয় সংগ্রহে চার শ রানের দেখা পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক।
আল আমিন হোসেনকে চার হাঁকিয়ে প্রাইম ব্যাংকের যে ইনিংসের গোড়াপত্তন হয়েছিল, তাতে চার ৪৩টি, ছক্কা ১৭টি। প্রাইম ব্যাংক চার শ রান পেরিয়ে যাওয়ার পথে ভেঙেছে সাত বছর আগের রেকর্ড। এত দিন লিস্ট–এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল বিকেএসপিতে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে আবাহনীর ৪ উইকেটে ৩৯৩ রান।
বিশাল রানের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সাব্বির হোসেন। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে তাঁরা তোলেন ৭৬ রান। তাঁদের এই উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ১৮.২ ওভারে। ১৪০ রানের এই জুটি ভাঙেন সোহাগ গাজী। তাঁর বলে আইচ মোল্লার হাতে ক্যাচ দেন ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৩ বলে ৭৩ রান করা সাব্বির।
সঙ্গীর বিদায়েও আরেক প্রান্তে ঝড় তুলতে থাকেন নাঈম শেখ। ৮২ বলে লিস্ট–এ ক্রিকেটে নিজের নবম শতক তুলে নেন। পরের ২৪ বলেই পৌঁছে যান দেড় শতে। লিস্ট–এ ক্রিকেটে নিজের সর্বোচ্চ রানকে অবশ্য ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি। ১২৫ বলে ১৮ চার ও ৮ ছক্কায় ১৭৬ রানে থামে তাঁর ইনিংস।
চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে নাঈম আউট হওয়ার পর প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস কত দূর যায়, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে এরপর হাত খোলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২২ বলে ৪০ রান করে আউট হন মামুন। শেষ দিকে ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন সাজ্জাদুল হক। ব্রাদার্সের হয়ে ৮১ রানে ১ উইকেট নেন সোহাগ। ৫ ওভারে ৬৬ রান দেন নুর মোহাম্মদ। ৭৭ রানে ৩ উইকেট নেন আল আমিন।