বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ‘মানসিক সমস্যা’ দেখছেন ল্যাঙ্গেভেল্ট

দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিমশামসুল হক

১৯১ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের আউট হওয়ার ধরন হতাশা বাড়িয়েছে আরও। সবমিলিয়ে সিলেটে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দিনটা বাংলাদেশের কেটেছে খুবই বাজে। অথচ বাংলাদেশের এমন ব্যাটিংয়ের পর জিম্বাবুয়ে কোনো উইকেট না হারিয়েই তুলে ফেলেছে ৬৭ রান।

দিন শেষে জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন এমন একজন, যাঁর অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করারও। পুরোনো শিষ্যদের অনেকেই এখন নেই, তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সম্পর্কে ধারণাটা এখনো পরিষ্কার জিম্বাবুয়ের বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টের। ওই অভিজ্ঞতা কিছুটা হলেও কাজে এসেছে, তা স্বীকার করেছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ল্যাঙ্গেভেল্ট বলেছেন, ‘আমি এটাকে মানসিক (এরর) সমস্যা বলব, এটা যেকোনো দলের ব্যাটিংয়েই হতে পারে।’ ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে নাজমুল হোসেনের আউট হওয়ার উদাহরণও টেনেছেন তিনি, ‘মুজারাবানি ক্রস সিমে বল করছিল, যেটা একটু বেশি বাউন্স করেছে। এটা তাঁর (নাজমুলের) রান করার জায়গা, কখনো কখনো এমন হতেই পারে।’

আরও পড়ুন

২ উইকেটে ৮৪ রান—দিনের প্রথম সেশন খুব একটা মন্দ কাটেনি বাংলাদেশের। পরের দেড় সেশনেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের এমন দিনে ১২৪ রানে এগিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের জন্য বেশ স্বস্তিরই।

জিম্বাবুয়ের বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট
এক্স

তা বলেছেন ল্যাঙ্গেভেল্টও, ‘জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্য এটা দারুণ দিন। আমার মনে হয়, প্রথম সেশনে বোলাররা বেশি শর্ট বল করেছে। তারা ব্যাটসম্যানদের যথেষ্ট খেলতে দেয়নি। আমি তাদের বলেছি, কয়েক ওভার রান না দিয়ে আঁটসাঁট বল করতে। আমরা নাজমুলকে ফেরাতে পেরেছি, যেটা ওদের বিপর্যয়ের শুরু।’

প্রথম সেশনে স্পিনারদের দিয়ে মাত্র এক ওভার বোলিং করিয়েছে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু পরে স্পিনাররাই ফিরিয়ে দিয়েছেন লেজের ব্যাটসম্যানদের। ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৩ ও ওয়েসলি মাধাভেরে নিয়েছেন ২ উইকেট।

আরও পড়ুন

দিন শেষে তাঁদেরও কৃতিত্ব দিয়েছেন ল্যাঙ্গেভেল্ট, ‘স্পিনাররা লেজের ব্যাটসম্যানদের ফেরাতে পেরেছে। সুশৃঙ্খল একটা দিন কেটেছে আমাদের। আমরা লম্বা সময় ধরে নিয়মের মধ্যে থেকেছি। আমি বাংলাদেশে কখনো এত দ্রুতগতির উইকেট দেখিনি। তবে এখনো অনেক খেলা বাকি। আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই।’