৪২ থেকে ৫০–এ যেতে ১০ বল লাগিয়েই কি বেঙ্গালুরুকে হারিয়েছেন কোহলি

লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে কাল বৃথা গেছে কোহলির ফিফটিছবি : বিসিসিআই

৪৪ বলে ৬১, স্ট্রাইক রেট ১৩৮.৬৩—মন্দ কী! আপাতদৃষ্টে মন্দ মনে না হলেও বিরাট কোহলির এই ইনিংসকে গত রাতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হারের কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকেই। এমনকি বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির ৪৬ বলে ৭৯ রানের ইনিংসকেও কাঠগড়ায় তুলছেন কেউ কেউ।

গত রাতে লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে কোহলিরা তোলেন ২১২ রান। দিন শেষে স্কোরটা যথেষ্ট হয়নি কোহলিদের জন্য। রোমাঞ্চ ছড়িয়ে শেষ বলে লক্ষ্ণৌ ম্যাচটি জিতে নিয়েছে ১ উইকেটে।

আগে ব্যাট করা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রানটা আরও বেশি হতে পারত। রান বেশি না হওয়ার পেছনে এই দুটি ইনিংসকে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেন? এই সময়ের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিটা বলকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে চাহিদা মিটিয়ে খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন দলের সর্বোচ্চ দুই রানসংগ্রাহক কোহলি ও ডু প্লেসি।  

৪২ থেকে ৫০–এ পৌঁছাতে ১০ বল লাগিয়ে দিয়েছেন কোহলি
ছবি : বিসিসিআই

কাল ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেছিলেন কোহলি। পাওয়ার প্লের মধ্যেই করেন ৪২ রান। বেঙ্গালুরুর হয়ে ওপেন করতে নেমে আইপিএলে পাওয়ার প্লের মধ্যে এর আগে কখনোই তিনি এত রান করেননি। তবে প্রথম ২৫ বলে ৪২ রান করা কোহলি ফিফটি করেন ৩৫ বলে। অর্থাৎ ৪২ থেকে ৫০—এই ৮ রান করতে কোহলি খেলেছেন ১০ বল। নিজের ইনিংসের শেষ ১৫ বলে করেছেন মাত্র ১৬ রান। দলের রানের গতি কমতে থাকে সেই সময়।

আরও পড়ুন

পাওয়ার প্লেতে ৫৬ রান করা বেঙ্গালুরু পরের ৭ ওভারে তোলে মাত্র ৪৮ রান। ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল তো বলেই দিয়েছেন, কোহলি ব্যক্তিগত মাইলফলক ছোঁয়ার দিকেই মনোযোগ দিয়েছেন, ‘শুরুতে কোহলির ইনিংসের গতি ছিল ট্রেনের মতো। অনেক শট খেলছিল। তবে ৪২ থেকে ৫০ রানে যেতে কোহলি ১০ বল খেলেছে। মাইলফলকের কথা ভেবেছে। আমার মনে হয় না এখন আর খেলায় এসবের কোনো জায়গা আছে।’

অধিনায়ক ডু প্লেসি গতকাল খেলেছেন ৪৬ বলে ৭৯ রানের ইনিংস। এই ইনিংস খেলার পথে প্রথম ৩০ বলে তিনি করেছিলেন মাত্র ৩৩ রান। ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে মনে করেন, প্রথমে নষ্ট করা এই বলগুলো আর ফিরে পাওয়া যায় না।

ব্যাট হাতে মহাপ্রলয় বইয়ে দিয়েছেন নিকোলাস পুরান ও মার্কাস স্টয়নিস
ছবি : বিসিসিআই

সঙ্গে ইনিংসের শেষের স্ট্রাইক রেটটাই যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন হার্শা, ‘এই খেলাটাই বলে দেয় স্ট্রাইক রেট নিয়ে এত দিন আমরা কী আলোচনা করছি। কোহলি ৪৪ বলে ৬১ রান, তার স্ট্রাইক রেট ১৩৯, শেষ ১৫ বলে করেছিল ১৬ রান। ডু প্লেসি ৪৬ বলে ৭৯, স্ট্রাইক রেট ১৭২, তবে প্রথম ৩০ বলে করেছিল ৩৩ রান। এই বলগুলো আর ফিরে পাওয়া যায় না। আরসিবি জয়ের জন্য যথেষ্ট সংগ্রহ পায়নি। আর আলোচনাটা ইনিংস শেষ ব্যাটসম্যানের কত স্ট্রাইক রেট থাকল, তা নিয়ে নয়।’