অস্ট্রেলিয়াকে চমকে দিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রেরণা পাকিস্তান

ডেভিড ওয়ার্নার চলে যাওয়ার পর কে হবেন অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী ওপেনার, সে প্রশ্নের উত্তর মিলেছে আগেই। অস্ট্রেলিয়ার যে অনিশ্চয়তাটুকু ছিল—মিটে গেছে তা। পাকিস্তানের পর এবার তাদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামীকাল ভোরে অ্যাডিলেডে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের আগে অবশ্য কদিন ধরে আবারও নতুন করে ওঠা প্রশ্নটাও আসছে ঘুরেফিরে—টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কী?

এ সিরিজের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সাতজন। টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ-সংক্রান্ত আলোচনা আসার কারণ এটিও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কয়েক বছর ধরেই এমন পূর্ণ শক্তির দল নির্বাচন করছে না, এমন মন্তব্যও করেছেন স্টিভ ওয়াহ। তবে এ সব আলোচনা বড় পরিসরের। আপাতত সামনে অ্যাডিলেড টেস্ট।

বছর খানেকের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটি দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়া সফর টেস্ট সিরিজের জন্য। সর্বশেষ সিরিজে ২-০ ব্যবধানেই হেরেছিল তারা। অন্তত এবারের চেয়ে অভিজ্ঞ দল ছিল সেটি। টি-টোয়েন্টির দিকে মনোযোগ দিতে এবার নেই অলরাউন্ডার ও সাবেক অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, কাইল মেয়ার্স। এ দলে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকা খেলোয়াড়েরা হলেন অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাফেট, সহ-অধিনায়ক আলজারি জোসেফ, অ্যালিক অ্যাথানাজ, তেজনারায়ণ চন্দরপল, জশুয়া দা সিলভা, গুড়াকেশ মোতি, কার্ক ম্যাকেঞ্জি ও কেমার রোচ।

আরও পড়ুন

এর আগে অস্ট্রেলিয়া ঘুরে গেছে পাকিস্তান। ১৯৯৫ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জেতার খরা এবারও কাটাতে পারেনি তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সে খরা পাকিস্তানের চেয়ে একটু কম হলেও কম লম্বা নয় মোটেও। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো টেস্ট জিতেছিল ক্যারিবীয়রা। এমন অনভিজ্ঞ দল নিয়ে সে খরা কাটানোর আশা করাটা একটু বাড়াবাড়ি মনে হতেই পারে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করতে চায় সেটিই—চমকে দিতে চায় অস্ট্রেলিয়াকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহ-অধিনায়ক আলজারি জোসেফ
এএফপি

এ ক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রেরণা পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ধবলধোলাই হলেও শান মাসুদের দল লড়াই করেছিল ঠিকই। জোসেফ বলেছেন, ‘আমরা এখানে দুটি টেস্ট ম্যাচ জিততে এসেছি, শুধু খেলতে আসিনি। আমরা পাকিস্তানের করা কিছু বিষয় দেখেছি এবং সেগুলোর কয়েকটি প্রয়োগের চেষ্টা করব। তবে আমাদের ভিন্নভাবে করতে হবে।’

সেটি কীভাবে, সে প্রসঙ্গে জোসেফ বলেছেন, ‘আমাদের কাছে ব্যাপারটি সাহসী হওয়ার, ইতিবাচক হওয়ার।’

আরও পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ায় সর্বশেষ সফরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ক্যারিবীয়রা খেলেছে মাত্র ছয়টি টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার জন্য এ সময়ে এটি হতে যাচ্ছে ১৮তম। তবে গতবারের ভুল থেকেও শিক্ষা নিতে চান এ পেসার, ‘শেষবার আমাদের লেংথ একটু শর্ট ছিল। আমাদের আরেকটু ফুল লেংথে করতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। মূলত ক্যারিবীয় থেকে এখানকার ব্যাপারটি আলাদা, এখানে বাড়তি বাউন্স আছে একটু।’

এরপর জোসেফ যোগ করেছেন, ‘আমি অনেক সাদা বলের ক্রিকেট খেলে আসছি, ফলে লাল বলে লেংথ ফিরে পেয়ে সেটি দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে হবে আমার।’