পারভেজের ১৫ বলে ফিফটির দিনে সবার আগে সুপার লিগে আবাহনী

সবার আগে সুপার লিগ নিশ্চিত করল আবাহনী। পারভেজ হোসেনের রেকর্ড ফিফটি ম্যাচে শাইনপুকুরকে উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আজ জিতেছে মোহামেডান ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবও।

৬.৪ ওভারেই আবাহনীকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ছেন আবাহনীর দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ও জিশান আলমসংগৃহীত

বোলিংয়ে মোসাদ্দেক, ব্যাটিংয়ে পারভেজ

আগের রাতের বৃষ্টিতে আউটফিল্ড ভেজা থাকা বিকেএসপির তিন মাঠে আবাহনী-শাইনপুকুর ম্যাচ নেমে আসে ৩১ ওভারে। তাতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে থাকা আবাহনী। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা শাইনপুকুরকে ৮৮ রানে অলআউট করে দিয়ে ৬.৪ ওভারেই জয় তুলে নিয়েছে তারা।

রান তাড়ায় ১৫ বলে ফিফটি করে লিস্ট ‘এ’-তে বাংলাদেশের ব্যাটসাম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন আবাহনী ওপেনার পারভেজ। ২০১৯ সালে গড়া ফরহাদ রেজার ১৮ বলে ফিফটির রেকর্ড ভেঙেছেন পারভেজ। এই ওপেনার ২৩ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৭ বলে ১৭ রান করেন আরেক ওপেনার জিসান আলম।

আবাহনীর জয়ে ম্যাচেসরা মোসাদ্দেক হোসেন
বিসিবি

এর আগে ২৫.৪ ওভারে ৮৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় শাইনপুকুর। দলটির হয়ে ৫৫ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মিনহাজুল আবেদীন। এ ছাড়া রহমতউল্লাহ আলী (১৭ বলে ১০) ও আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদ (১১ বলে ১৪) দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পারেন ব্যক্তিগত সংগ্রহ।

আবাহনীর হয়ে ৬ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন, এ ছাড়া ২টি করে উইকেট পান রিপন মণ্ডল ও রাকিবুল হাসান। ৯ ম্যাচের ৮টিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই থাকল আবাহনী, প্রথম দল হিসেবে সুপার লিগে খেলাও নিশ্চিত হয়েছে তাদের। এক জয় নিয়ে সবার শেষে আছে শাইনপুকুর।

প্রাইম ব্যাংককে হারিয়েছে মোহামেডান

মিরপুরে প্রাইম ব্যাংককে হারিয়ে সুপার লিগে এক পা দিয়ে রাখল মোহামেডান। টসে হেরে ফিল্ডিং পাওয়া মোহামেডান প্রাইম ব্যাংককে ৩২.২ ওভারে ১৭৪ রানে অলআউট করে। এরপর ওই রান ২০ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে মোহামেডান।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে একাই লড়াই করেন শামীম হোসেন। ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ বলে ৮৯ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ৪০ বলে ২১ রান করে তাঁকে কিছুটা সঙ্গ দেন আরাফাত সানি। এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংকের বাকি ব্যাটসম্যানরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। মোহামেডানের হয়ে ৩.২ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, ৭ ওভারে ১ মেডেনে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ইবাদত হোসেন।

৫ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন মোহামেডানের তাইজুল ইসলাম
শামসুল হক

রান তাড়ায় নেমে শুরুতে বিপদে পড়েছিল মোহামেডানও। ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। এরপর দলের হয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক তওহিদ হৃদয়। ২২ বলে ৭ রান করে মাহমুদউল্লাহও ফিরে যান দলকে ৬৪ রানে রেখে। এরপর ৯১ রানের জুটি গড়েন হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁদের এই জুটি ভাঙে ৫৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রান করে হৃদয় আউট হলে। ৫৫ বল খেলে ৬৭ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৯ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে মোহামেডান।

আরও পড়ুন

রোমাঞ্চকর ম্যাচে গুলশানের জয়

ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবকে ২ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে প্রিমিয়ার লিগে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। পুরো ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান করে ধানমন্ডি ক্লাব। দলটির হয়ে ৯১ বল খেলে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ফজলে মাহমুদ, ৩৬ বলে ৩২ রান আসে ওপেনার হাবিবুর রহমানের ব্যাটে। ৩ উইকেট করে নেন মেহেদী হাসান ও আসাদুজ্জামান।

গুলশানের জয়ে ম্যাচসেরা নাঈম ইসলাম
বিসিবি

রান তাড়ায় নেমে গুলশানের ব্যাটসম্যানরাও তেমন ভালো করতে পারেননি। ৮৭ বলে ৩৯ রান করেন ওপেনার আজিজুল হাকিম। তবে দলটিকে জেতাতে শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন নাঈম ইসলাম ও খালিদ হাসান। ৬৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬৮ রান করেন নাঈম, ৩৩ বলে ৪২ রান আসে খালিদের ব্যাটে। এ ছাড়া ২৫ বলে ২৩ রান করেন ইলিয়াস সানি। ৯ ম্যাচে ৫ জয় পাওয়া গুলশান ১১ পয়েন্ট নিয়ে এখন আছে পয়েন্ট টেবিলের চারে, ৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ধানমন্ডি আছে আটে।

আরও পড়ুন