মোস্তাফিজের ১০০ উইকেটের ৬৭টিই ক্যাচ! বোল্ড ২৬টি ও এলবিডব্লু ৭টি। সে কারণেই স্মারকটি পেয়ে মোস্তাফিজ প্রথমেই ধন্যবাদ দিলেন তাঁর সতীর্থদের, যাঁরা তাঁর বোলিংয়ে ক্যাচ ধরেছেন। মোস্তাফিজের এই অর্জনটা এল দারুণ এক মুহূর্তে। সাদা বলের ক্রিকেটে যখন সেই চেনা মোস্তাফিজের ফেরার অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট, ঠিক তখনই।

এক বছর ধরেই নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না বাঁহাতি এই পেসার। ওয়ানডে ক্রিকেটে গত এক বছরে তাঁর মতো এত ওভার (১০০.২) বোলিং করে এত কম ইকোনমি রেট (৪.৬১) নেই বাংলাদেশের আর কোনো বোলারের।

কিন্তু মোস্তাফিজ মানেই তো শুধু রান আটকে রাখা নয়। তিনি উইকেট এনে দেবেন, স্বাভাবিকভাবেই দলের প্রত্যাশা এমন। মোস্তাফিজ সাম্প্রতিক সময়ে ব্যর্থ সেখানেই। সর্বশেষ এক বছরে ১৩ ইনিংসে বোলিং করেছেন, পেয়েছেন ১০ উইকেট। তবে এর মধ্যে ৫টিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে।

টি-টোয়েন্টিতেও একই চিত্র। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোস্তাফিজ ২০ ম্যাচ খেলে ১৯ ইনিংসে বল করেছেন। উইকেট নিয়েছেন ১৪টি, ইকনোমি ৭.২৯।

কিন্তু কাল ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাইয়ের ম্যাচে মোস্তাফিজই ছিলেন দলের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তাঁর শিকার ১ উইকেট। বোলিংয়েও ছিল পুরোনো ব্যাপারগুলো। কাটারগুলো হাত থেকে বের হচ্ছিল দারুণভাবে। উইকেটে পড়ে লাফিয়ে উঠছিল। সেই বোলিংয়ে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছিল, ছন্দে ফিরছেন মোস্তাফিজ।

সঙ্গে কুড়ি ওভারের খেলায় ১০০ উইকেটের অর্জন নিশ্চয়ই মোস্তাফিজকে আরও স্বস্তি দেবে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পাওয়া মাত্র ৬ষ্ঠ বোলার তিনি। এ তালিকায় সবার ওপরের নামটা নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদির (১৩৪ উইকেট)। সাকিব আছেন ২ নম্বরে। মোস্তাফিজ ও সাকিবের মাঝে আছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান (১২৬), নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধি (১১৪) ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা (১০৭)।