বিগ ব্যাশের ড্রাফটে তিন বাংলাদেশি
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশের পরের আসরের ড্রাফটে নাম আছে তিনজন বাংলাদেশির। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সঙ্গে ২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা রিপন মণ্ডলের নাম আছে প্রাথমিক এ তালিকায়। আজ ২৯টি দেশের ৩৭৬ জন বিদেশি ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। মেয়েদের বিগ ব্যাশের ড্রাফটে থাকা খেলোয়াড়দের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। ১২২ জনের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে আছেন শুধু পেসার জাহানারা আলম।
গত আসরের ড্রাফটে রিপন ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ছিলেন আল-আমিন হোসেন ও শফিউল ইসলাম। তবে শেষ পর্যন্ত কারোরই খেলার সুযোগ হয়নি। এখনো পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার এ লিগে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনিও ২০১৫ সালের পর থেকে এ লিগে খেলেননি। ২০১৪ সালে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। পরের মৌসুমে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে আরও ৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বিগ ব্যাশের সঙ্গে বিপিএলের সূচি সাংঘর্ষিক হয়ে যাওয়ায় এ লিগে খেলা বাংলাদেশিদের জন্য বেশ কঠিনই। সামনের মৌসুমেও যেমন দুই লিগের সূচি সাংঘর্ষিক হবে। বিপিএলের পরের আসর ৬ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলার কথা ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অন্যদিকে ৭ ডিসেম্বর শুরু হয়ে বিগ ব্যাশ চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
স্বাভাবিকভাবেই ড্রাফটে নাম থাকা মানে উল্লেখিত খেলোয়াড়েরা বিগ ব্যাশে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মাত্র। বাকিটা নির্ভর করছে দলগুলোর ওপর। ড্রাফটে ইংল্যান্ড থেকেই আছেন ১৪৪ জন ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে আছেন ৪৬ জন। পাকিস্তান থেকে আছেন অন্তত ৩০ জন খেলোয়াড়। হারিস রউফ, নাসিম শাহ, শাদাব খান, মোহাম্মদ রিজওয়ানদের মতো তারকা পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা বিগ ব্যাশের ড্রাফটে নাম লিখিয়েছেন। ড্রাফটে আছেন রোমানিয়া ও গ্রিসের মতো দেশের খেলোয়াড়ও।
ড্রাফটে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে রাখা হয়েছে ‘রিটেনশন রাইট’ শ্রেণিতে। এ শ্রেণিতে থাকা খেলোয়াড়দের নির্দিষ্ট দলগুলো চাইলে ধরে রাখতে পারবে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের দুজন এ শ্রেণির বাইরে আছেন।
এবারের ড্রাফটে আফগানিস্তানের রশিদ খানের থাকাটা উল্লেখযোগ্য। আফগানিস্তানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ বাতিল করার পর গত জানুয়ারিতে বিগ ব্যাশে না খেলার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছিলেন এ অলরাউন্ডার। তবে আজকের ড্রাফটে তাঁর নাম নিশ্চিত করেছে, বিগ ব্যাশে খেলতে আগ্রহী তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন আরও ২৪ জন আফগান ক্রিকেটার। রশিদকে চাইলে ধরে রাখতে পারবে তাঁর পুরোনো দল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স।
নারী ও পুরুষ মিলিয়ে এবার প্রায় ৪০ জন ক্রিকেটারকে ‘প্লাটিনাম’ শ্রেণিতে রাখা হবে, মানে তাঁদেরকে ড্রাফটে শুরুর দিকে নেওয়া যাবে। প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের একেকজন সর্বোচ্চ ৪ লাখ ২০ হাজার ডলার বা ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা পেতে পারেন।