ভারতের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে মদকাণ্ড

চণ্ডীগড় থেকে সি কে নাইডু ট্রফির ম্যাচ খেলে রাজকোটে ফিরছিল সৌরাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সেখানে বিমানবন্দরে ৫ জন ক্রিকেটারের ব্যাগ থেকে ২৭টি মদের বোতল ও ২টি বিয়ারের বাক্স উদ্ধার করেছে চণ্ডীগড় কর্তৃপক্ষ। ক্রিকেটারদের এমন কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।

তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত একজন ক্রিকেটারের বাবা অভিযোগ করেছেন, যেটি আরও গুরুতর। তাঁর দাবি, কিছু ক্রিকেটারকে দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য এমন ঘটনা সাজানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

জানা গেছে, ঘটনাটি ২৫ জানুয়ারির। অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতে ফিরছিলেন ক্রিকেটাররা। এরপরই ঘটে এমন ঘটনা। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেটে অ্যাসোসিয়েশন এই প্রসঙ্গে বলেছে, ‘ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেটে কমিটির নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা কমিটি এবং অ্যাপেক্স কাউন্সিল পুরো বিষয় গভীরভাবে খতিয়ে দেখবে। এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’

তবে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিযুক্ত এক ক্রিকেটারের বাবা। ইনসাইড স্পোর্টস তাঁর একটি কোট উদ্ধৃতি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘সংবাদমাধ্যমে যেভাবে ঘটনাটি তুলে ধরা হচ্ছে, তাতে আমাকেই দোষী দেখানো হচ্ছে। আসলে এটি আমার ছেলে ও অন্য চারজন ক্রিকেটারকে দল থেকে বের করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র, যেন অন্য কয়েকজন ক্রিকেটার দলে জায়গা পেতে পারে।’

আরও পড়ুন

গুজরাটে মদ বহন করা নিষিদ্ধ। শুধু পর্যটকদের জন্য বিশেষ অনুমিত দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তাঁরা মদ কিনতে পারেন। মদ নিয়ে যদি অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা রাজকোটে আসতেন, তাহলে তাঁরা ফৌজদারি অপরাধের মুখোমুখি হতে পারতেন। তবে চণ্ডীগড়ে মদ বহন নিষিদ্ধ নয়। আর এটা ধরা হয়েছে বিমান ছাড়ার আগে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের ফৌজদারি অপরাধের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না, বিষয়টি ভারতের পত্রিকা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে নিশ্চিত করেছেন চণ্ডীগড় ইউনিয়ন টেরিটোরি অ্যাসোসিয়েশনের সচিব দেবিন্দার শর্মা।