- ১৪ রানে হারল বাংলাদেশ, সঙ্গে সিরিজও
- শেষ ওভারে ২১ দরকার বাংলাদেশের
- উইকেট পড়ছেই
- জাকেরও আউট
- তানজিদ ফিরলেন ৬১ রান করে
- ২৪ বলে দরকার ৪২ রান
- তানজিদের ফিফটি, বাংলাদেশের এক শ
- এবার ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন তানজিদ
- সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না হৃদয়
- এবার জীবন পেলেন হৃদয়
- বোল্ড হয়ে গেলেন লিটন
- জীবন পেলেন লিটন
- সাইফ আউট!
- শুরুতে ধীর বাংলাদেশ
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামল ১৪৯ রানে
- মোস্তাফিজের টানা দুই
- রানের গতি কমেছে উইন্ডিজের
- রিশাদের জোড়া উইকেট
- পাওয়েলকে ফেরালেন রিশাদ
- এবার মোস্তাফিজের শিকার হোপ
- টানা দুই বলে উইকেট নাসুমের
- অ্যাথানেজের ফিফটি
- পাওয়ারপ্লেতে ৫০–এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- দুই ওভারে খরচ ২৪ রান
- তাসকিনের উইকেট
- প্রথম বলেই ক্যাচ, মিস করলেন লিটন
- দুই দলেরই চোখ ১৮০ রানে
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে পরিবর্তন নেই
- জাকের ফিরলেন একাদশে
- টস হেরেছে বাংলাদেশ, ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- স্বাগত
১৪ রানে হারল বাংলাদেশ, সঙ্গে সিরিজও
শেষ ওভারে দরকার ছিল ২১ রান, কিন্তু স্পিনার আকিল হোসেনের কাছ থেকে একটি বাউন্ডারিও বের করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো তৃতীয় বলে রিশাদ আর ষষ্ঠ বলে নাসুম আউট হয়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে আটকেছে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানে। ম্যাচ হার ১৪ রানে।
এই হারে সিরিজও হেরেছে লিটন দাসের দল। আজকের আগে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরেছিল ১৬ রানে। যার অর্থ, শুক্রবারের তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টি এখন আনুষ্ঠানিকতার।
টসের সময় লিটন বলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৮০ রানের আশপাশে আটকে রাখলে তাড়া করার ভালো সুযোগ থাকবে। বোলাররা ক্যারিবীয়দের দেড় শর মধ্যে আটকে দিয়ে ব্যাটসম্যানদের কাজটা আরও সহজ করে তুলেছিলেন। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররাও বাংলাদেশকে ‘সহায়তা’র হাত বাড়িয়েছিলেন। তাঁরা ক্যাচ মিস করেছেন চারটি। তবে সুযোগ পেয়েও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি সাইফ, লিটন, হৃদয় ও তানজিদ। এর মধ্যে ৪৪ রানে জীবন পেয়ে ৬১ রান পর্যন্ত যেতে পারা তানজিদই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিটনের ২৩।
১৬ ওভার শেষেও বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ভালোমতোই। ২৪ বলে দরকার ছিল ৪২ রান, হাতে ছিল ৭ উইকেট। কিন্তু শেষ চার ওভারের মধ্যে সর্বোচ্চ রান ৯ (১৭তম ওভারে)। শেষ তিন ওভারে এসেছে যথাক্রমে ৭, ৫ ও ৬ রান। ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরেছে এখানেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (হোপ ৫৫, অ্যাথানেজ ৫২, চেজ ১৭*; মোস্তাফিজ ৩/২১, রিশাদ ২/২০, নাসুম ২/৩৫)। বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (তানজিদ ৬১, লিটন ২৩, জাকের ১৭; আকিল ৩/২২, শেফার্ড ৩/২৯, হোল্ডার ২/২০)। ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রোমারিও শেফার্ড। সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২–০–তে এগিয়ে।
শেষ ওভারে ২১ দরকার বাংলাদেশের
বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ১২৯/৬। লক্ষ্য: ১৫০।
ম্যাচের শেষ ৬ বলে ২১ দরকার বাংলাদেশের। ব্যাটিংয়ে আছেন রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান। এই ওভারের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশ সিরিজে সমতা আনতে পারবে, নাকি এক ম্যাচ বাকি থাকতেই হেরে যাবে।
উইকেট পড়ছেই
বাংলাদেশ: ১৮.১ ওভারে ১২৪/৬। লক্ষ্য: ১৫০।
দরকার রান, কিন্তু বাংলাদেশ হারাচ্ছে উইকেট। ১৯তম ওভারে হোল্ডারের বলে বোল্ড শামীম হোসেন (২ বলে ১ রান)। নতুন ব্যাটসম্যান তানজিম হাসান, সঙ্গে রিশাদ হোসেন।
বাংলাদেশের দরকার ১১ বলে ২৬ রান।
জাকেরও আউট
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১২৪/৫। লক্ষ্য: ১৫০।
১৮তম ওভারের শেষ বলে আউট হলেন জাকের আলী। অফ স্টাম্পের বাইরের বাউন্সার অন সাইডে টেনে এনে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি (১৮ বলে ১৭ রান)।
তানজিদ ফিরলেন ৬১ রান করে
তিন ওভারে দরকার ৩৩ রান—এমন সমীকরণের মুখে দাঁড়িয়ে তানজিদের উইকেট হারাল বাংলাদেশ। শেফার্ডের বলে পয়েন্ট বাউন্ডারিতে ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তানজিদ। ৪৮ বলে ৬১ রান করে এমন সময়ে আউট হলেন, যখন বাংলাদেশের দ্রুত রান তোলা দরকার। নতুন ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন।
বাংলাদেশ: ১৭.১ ওভারে ১১৭/৪।
২৪ বলে দরকার ৪২ রান
বাংলাদেশ: ১৬ ওভারে ১০৮/৩। লক্ষ্য: ১৫০।
রান তাড়ায় উইকেট হাতে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ এখন শেষ ধাপে। শেষ চারে ওভারে জয়ের জন্য ৪২ রান দরকার বাংলাদেশের। উইকেটে আছেন তানজিদ ও জাকের।
তানজিদের ফিফটি, বাংলাদেশের এক শ
বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ১০০/৩। লক্ষ্য: ১৫০।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে ১০০ রানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। তার আগে ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করেছেন তানজিদ। শেফার্ডকে কাভার বাউন্ডারি দিয়ে চার মেরে ৩৮ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। এটি তাঁর টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি।
এবার ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন তানজিদ
বাংলাদেশ: ১৪ ওভারে ৮৮/৩। লক্ষ্য: ১৫০।
এবার ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন তানজিদ হাসান। আকিল হোসেনের বলে মিডউইকেট বাউন্ডারিতে সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন অ্যাথানেজ। এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ ক্যাচ মিস।
এর আগে ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছিলেন সাইফ, লিটন ও হৃদয়। অবশ্য তিনজনের কেউই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৪৪ রানে জীবন পাওয়া তানজিদ কি পারবেন?
সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না হৃদয়
বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ৮৬/৩। লক্ষ্য: ১৫০।
১৩তম ওভারের প্রথম বলে আউট তাওহিদ হৃদয়। রোমারিও শেফার্ডের বলে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন সিলস। কিছুক্ষণ আগে এই সিলসই হৃদয়ের ক্যাচ মিস করেছিলেন। ৮৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলী। এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন তানজিদ হাসান।
এবার জীবন পেলেন হৃদয়
বাংলাদেশ: ১১ ওভার শেষে ৭২/২। লক্ষ্য: ১৫০।
অফ স্টাম্পের ওপর হালকা ফ্লাইটেড বল, হৃদয় সুইপ করলেন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের দিকে। সেখানে ছুটে গিয়ে ডাইভ দিলেন সিলস, কিন্তু বল আঙুলের নাগালে পেলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেন না। মনে হলো, বলটা ঠিকঠাক দেখেননি।
তিন নম্বর ক্যাচ ফেলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বোল্ড হয়ে গেলেন লিটন
বাংলাদেশ: ৮ ওভারে ৫০/২। লক্ষ্য: ১৫০।
জীবন পেয়ে সেটা কাজে লাগাতে পারলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। আকিল হোসেনের বলে তাঁর স্টাম্প উড়ে গেল! অফ স্টাম্পে প্রায় ৯০ কিলোমিটার গতির বল, লেন্থে একেবারে নিখুঁত। লিটন ব্যাকফুটে গিয়েছিলেন, অথচ বলটা খেলার কথা ছিল সামনের পায়ে। ব্যাটে বল লাগল না, সরাসরি আঘাত হানল অফ স্টাম্পে।
রাদারফোর্ড এখন নিশ্চয়ই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন—একটু আগেই যে তাঁর হাত থেকে লিটনের ক্যাচ ফসকেছিল।
জীবন পেলেন লিটন
এবার লিটনের ক্যাচ ছাড়লেন রাদারফোর্ড। প্রথম ছয় ওভারের মধ্যেই দুটি ক্যাচ ছাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেফার্ডের ভালো লেন্থের বল, লিটন লাইন ছেড়ে খেলতে গিয়ে টপ-এজে লাগান। বল অনেকক্ষণ বাতাসে ভেসে ছিল। মিড-উইকেটের কাছে দাঁড়ানো রাদারফোর্ডের হাতে সময়ও ছিল যথেষ্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারলেন না।
বাংলাদেশ: ৩৭/১ , ৬ ওভার শেষে
সাইফ আউট!
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ১৪/১। লক্ষ্য: ১৫০।
রানের জন্য গ্যাপ খুঁজে বের করতে পারছিলেন না সাইফ। চাচ্ছিলেন বড় শট খেলতে, বৃত্তের ভেতরে থাকা ফিল্ডারদের মাথাও ওপর দিয়ে বল পাঠাতে। কিন্তু হচ্ছিল না।
শেষ পর্যন্ত ক্যাচ তুলেই আউট হলেন সাইফ (১১ বলে ৫ রান)। হোল্ডারের বল তুলে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দিলেন ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
শুরুতে ধীর বাংলাদেশ
বাংলাদেশ: ২ ওভারে ৭/০। লক্ষ্য: ১৫০।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে ধীরে। প্রথম ওভারে ২ আর দ্বিতীয় ওভারে ৫ রান নিয়েছেন ওপেনাররা। এর মধ্যে হোল্ডারের করা দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ক্যাচ তুলেছিলেন সাইফ হাসান। তবে পয়েন্ট থেকে পেছনে দৌড়ে ঠিকঠাক বলের নিচে যেতে পারেননি ব্রেন্ডন কিং। ক্যাচ হতে হতে দুই রান পেয়েছেন সাইফ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামল ১৪৯ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান দেড় শ ছুঁতে পারেনি। ২০তম ওভারের শেষ বল ব্যাটেই নিতে পারেননি আকিল, তবু নন স্ট্রাইক থেকে দৌড় দিয়েছিলেন রোস্টন চেজ। আকিল হোঁচট খেয়ে পপিং ক্রিজে পড়ে গেছেন। চেজ ফিরে আসতে চেয়েও হয়েছেন রানআউট।
যেভাবে শেষটা হয়েছে এবং স্কোরবোর্ডের যে চেহারা দাঁড়িয়েছে, তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অতৃপ্তি থেকে যাওয়ার কথা। টসের সময় অধিনায়ক বলেছিলেন ১৮০ রানের আশপাশে সংগ্রহ গড়তে চায় তাঁর দল। ১১ ওভারে ১ উইকেটে ১০৫ রান তুলে সেই পথে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু ১২তম ওভারে নাসুমের বলে টানা দুই উইকেট হারানোর পর খেই হারিয়ে ফেলে দলটি।
শেষ ৯ ওভারে মাত্র ৪৪ রান যোগ করতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হারিয়েছে ৮ উইকেট। বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরেছে নাসুমের শেষ ওভারের জোড়া আঘাতে। এরপর রিশাদ, মোস্তাফিজরা চাপ বাড়িয়ে লক্ষ্যটা কমের মধ্যে রেখেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (হোপ ৫৫, অ্যাথানেজ ৫২, চেজ ১৭*, শেফার্ড ১৩; মোস্তাফিজ ৩/২১, রিশাদ ২/২০, নাসুম ২/৩৫)।
মোস্তাফিজের টানা দুই
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯.৩ ওভারে ১৪৫/৮।
ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজ। তাঁর শর্ট ডেলিভারিতে ডিপ পয়েন্টে জাকেরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন রোমারিও শেফার্ড (১৬ বলে ১৩ রান)।
পরের বলেই বোল্ড হয়েছেন খারি পিয়েরে। মোস্তাফিজ অন–আ–হ্যাটট্রিক।
আকিল হোসেন হ্যাটট্রিক হতে দিলেন না। নিলেন সিঙ্গেল।
রানের গতি কমেছে উইন্ডিজের
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮ ওভারে ১৩৩/৬।
১১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ১ উইকেটে ১০৫। ১২তম ওভারে টানা দুই বলে উইকেট হারানোর পর থেকে দলটির রানের গতি কমেছে।
সর্বশেষ ৭ ওভারে মাত্র ২৮ রান যোগ করতে পেরেছে দলটি, হারিয়েছে ৫ উইকেট। এ সময়ে সর্বোচ্চ ৬ রান এসেছে ১৬তম ওভারে তানজিমের বলে।
চার ওভার বল করে ২৩ রান দিয়েছেন তানজিম, উইকেট পাননি।
রিশাদের জোড়া উইকেট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৫ ওভারে ১১৯/৬।
নাসুমের মতো এক ওভারে দুই উইকেট নিলেন রিশাদও। ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিজের প্রথম বলে ফিরিয়েছেন রোভমান পাওয়েলকে। দুই বল পর চতুর্থ বলে ফেরালেন জ্যাসন হোল্ডারকে।
ব্যাটে ঠিকঠাক টাইমিং করাতে না পারা হোল্ডার ক্যাচ দিয়েছেন লং অনে হৃদয়ের হাতে। ১১৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে সর্বশেষ ১২ রানের মধ্যেই গেল ৫ উইকেট।
ব্যাটিংয়ে এখন রোমারিও শেফার্ড ও রোস্টন চেজ।
রিশাদের এখনো দুটি ওভার বাকি আছে।
পাওয়েলকে ফেরালেন রিশাদ
উইকেট–শিকারের মিছিলে এবার যোগ হয়েছেন রিশাদ হোসেনও। রোভমান পাওয়েলকে আউট করেছেন এই লেগ স্পিনার।
বল পিচ করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পাওয়েল ঠিকঠাক পা নড়াতে পারেননি। বল পয়েন্ট দাঁড়ানো মোস্তাফিজের দিকে যাচ্ছে দেখেই হাঁটা শুরু করে দেন পাওয়েল (৯ বলে ৩ রান)। ১১৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল উইন্ডিজ।
এবার মোস্তাফিজের শিকার হোপ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩ ওভারে ১১২/৪।
শতরানের জুটি ভাঙার পর উইন্ডিজের উইকেট পড়ছেই। এবার মোস্তাফিজের বলে আউট হয়েছেন হোপ।
১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে স্লোয়ারে পয়েন্টে শামীমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক। অষ্টম টি–টোয়েন্টি ফিফটি করা হোপ ফিরলেন ৩৬ বলে ৫৫ রান করে। নতুন ব্যাটসম্যান জেসন হোল্ডার।
টানা দুই বলে উইকেট নাসুমের
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১২ ওভারে ১০৮/৩।
ইনিংসের ১২তম ওভারে এসে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। নাসুমের বলে স্লগ–সুইপ খেলতে গিয়ে ডিফ মিড উইকেটে তানজিদের ক্যাচ হয়েছেন অ্যাথানেজ (৩৩ বলে ৫২ রান)। এই আউটে ভেঙেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০৫ রানের জুটি।
তবে তৃতীয় উইকেটের জন্য কোনো অপেক্ষাই করতে হয়নি। শারফেন রাদারফোর্ড প্রথম বলেই বোল্ড হয়েছেন। টানা দুই বলে দুই উইকেট।
রোভমান পাওয়েল অবশ্য হ্যাটট্রিক হতে দেননি। জোড়া উইকেট নেওয়া সফল ওভারে নাসুম দিলেন মাত্র ৩ রান। এটি ছিল তাঁর শেষ ওভার।
নাসুম বোলিং শেষ করলেন ৪ ওভারে ৩৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে।
অ্যাথানেজের ফিফটি
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০ ওভারে ৯৪/১।
শুরুতে উইকেট হারালেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অ্যাথানেজ–হোপ জুটি। দুজনের দ্বিতীয় জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ৯৩ রান।
এরই মধ্যে ফিফটি পূর্ণ করেছেন অ্যাথানেজ। দশম ওভারে নাসুমের পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৩০ বলে ৫০–ও পৌঁছেছেন তিনি। তাঁর ইনিংসটিতে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। যার মধ্যে আছে রিশাদের বলে ৯২ মিটার দূরত্ব ছাড়ানো ছক্কাও।
অধিনায়ক হোপ ব্যাট করছেন ২৬ বলে ৪১ রান নিয়ে।
পাওয়ারপ্লেতে ৫০–এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৬ ওভারে ৫০/১।
ফিল্ডিং বাধ্যবাধকতার পাওয়ারপ্লেতে ৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ওভারে ব্রেন্ডন কিংকে হারানোর পর ক্যারিবীয়দের টেনে নিচ্ছেন অ্যাথানেজ ও হোপ। অ্যাথানেজ ১৮ বলে ২৭ আর হোপ ১৪ বলে ২০ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক তানজিম ও তাসকিনকে দিয়ে দুই করে মোট চার ওভার করানোর পর বোলিংয়ে এনেছেন মোস্তাফিজ ও নাসুমকে।
দুই ওভারে খরচ ২৪ রান
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪ ওভারে ৩০/১।
তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে ২৪ রান নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তানজিমের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ১টি করে চার ও ছয় মিলিয়ে হয়েছে মোট ১১ রান।
এরপর তাসকিনের ওভারেও একটি করে চার ও ছয় মেরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যান। দুই ওভার মিলিয়ে হওয়া দুটি চারই অ্যাথানেজের, একটি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। অপর ছক্কা হোপের।
তাসকিনের উইকেট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২ ওভারে ৬/১।
ইনিংসের নবম বলেই উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের বলে মিড অফে হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন কিং। আগের ওভারে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া উইন্ডিজ ওপেনার সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। ফিরলেন ৪ বলে ১ রান করে।
নতুন ব্যাটসম্যান শাই হোপ। তিনি সিঙ্গেল নেওয়ার পর ওভারের শেষ বলে লং অন দিয়ে চার মেরেছেন অ্যাথানেজ। যদিও হৃদয়ের মিডফিল্ডিংয়ের দায় আছে তাতে।
প্রথম বলেই ক্যাচ, মিস করলেন লিটন
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১ ওভারে ১/০।
ম্যাচের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। কিন্তু গ্লাভসে নিতে পারেননি লিটন দাস।
তানজিম হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের উঠতি বলটি কিংয়ের ব্যাট ছুঁয়ে প্রথম স্লিপের দিকে যায়। সেখানে ছিলেন তানজিদ হাসান। তবে উইকেটকিপার লিটন নিজেই সেটা নিতে গিয়ে গ্লাভসে জমাতে পারেননি। বল থার্ড ম্যাচে গেলে এক রান পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে কিংয়ের সঙ্গে নেমেছেন অ্যালিক অ্যাথানেজ। তানজিমের ওভারের পাঁচ বলই খেলেছেন তিনি। তবে রান বের করতে পারেননি এই বাঁহাতি।
দুই দলেরই চোখ ১৮০ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ বলেছেন, তাঁর দল আগের ম্যাচের চেয়ে ২০ রান বেশি করতে চায়। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছিল ১৬৫ রান।
টসের সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, ১৮০ রানের আশপাশে স্কোরই ভালো হবে। আজকের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো মনে হচ্ছে, রাতের দিকে শিশিরের ভূমিকাও থাকবে।
লিটন অবশ্য রান তাড়ার ক্ষেত্রে প্রথম চার ব্যাটসম্যানের ১৫ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে পরিবর্তন নেই
ব্রেন্ডন কিং, অ্যালিক অ্যাথানেজ, শাই হোপ (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), রোস্টন চেজ, শারফেন রাদারফোর্ড, রোভমান পাওয়েল, জেসন হোল্ডার, রোমারিও শেফার্ড, আকিল হোসেন, খারি পিয়েরে ও জেইডেন সিলস।
জাকের ফিরলেন একাদশে
প্রথম টি–টোয়েন্টির দল থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। নুরুল হাসান নেই, তাঁর জায়গায় দলে ঢুকেছেন আরেক উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান জাকের আলী।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), তানজিদ হাসান, সাইফ হাসান, জাকের আলী, শামীম হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
টস হেরেছে বাংলাদেশ, ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
টস জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক শাই হোপ জানিয়েছেন, আগে ব্যাট করবে তাঁর দল। অর্থাৎ, আগের ম্যাচের মতো এবারও রান তাড়ায় ব্যাট করবে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচেই টসে হারলেন লিটন দাস।
স্বাগত
সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টির ধারাভাষ্যে আপনাদের স্বাগত। ২৭ অক্টোবর হওয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং–ব্যর্থতায় বাংলাদেশ হেরেছিল ১৬ রানে।
এই ম্যাচের সরাসরি ধারাভাষ্য, তথ্য, পরিসংখ্যান ও তাৎক্ষণিক ঘটনাপ্রবাহ জানাতে আপনাদের সঙ্গে আছি মো. আনোয়ার হোসেন।