‘আমাকে খলনায়ক বানানো হয়েছে’—গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলা নিয়ে ওভালের কিউরেটর
ওভালে সেই ঘটনার পর এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেছে। ওভালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পাঁচ টেস্টের সিরিজ ২–২ এ ড্র করে অনেকটা সিরিজ জয়ের আনন্দ নিয়েই দেশে ফিরেছে গৌতম গম্ভীরের ভারত। এত দিন পর ভারতের কোচ গম্ভীরের সঙ্গে ওভালে বাগ্বিতণ্ডা নিয়ে মুখ খুলেছেন স্টেডিয়ামটির কিউরেটর লি ফোর্টিস।
ফোর্টিস দাবি করেছেন, তাঁকে খলনায়ক বানানো হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনোই খলনায়ক ছিলাম না, আমাকে বানানো হয়েছে। তবে আশা করি সবাই খেলা উপভোগ করেছে। ওভালে আইপিএলের মতোই আবহ ছিল। দুর্দান্ত ম্যাচ হয়েছে।’
কী হয়েছিল ওভালে?
ম্যাচের দুই দিন আগে ওভালে অনুশীলন করতে গিয়ে দলের কোচ গৌতম গম্ভীর খেলোয়াড়দের নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন ক্রিজের কাছাকাছি প্লেয়িং এরিয়ায়। এটা পছন্দ হয়নি কিউরেটর লি ফোর্টিসের। তিনি তাদের ২.৫ মিটার দূরে থাকতে বলেন। ফোর্টিস গম্ভীরকে ডেকে কিছু বলেছিলেন। কিন্তু কিউরেটরের কথা পছন্দ হয়নি গম্ভীরের।
ভারতের কোচ হঠাৎ করেই রাগের ভঙ্গিতে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে থাকেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তখন জানিয়েছিল, ফর্টিসের দিকে আঙুল উঁচিয়ে গম্ভীর বলেছেন, ‘আমাদের কী করতে হবে, সেটা তোমার বলার প্রয়োজন নেই।’
গম্ভীরকে এভাবেই উদ্ধৃত করেছে ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। তবে দুজনের ঝামেলার কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছিল অন্য একটি বিষয়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, ওভালে গম্ভীর তাঁর ব্যাটসম্যানদের নেট অনুশীলন খুব মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সে সময় বারবারই গম্ভীরকে কিছু বলছিলেন ফোর্টিস। ধারণা করা হচ্ছে, গম্ভীরকে তিনি কোনো পরামর্শ দিচ্ছিলেন, সেটা ভালোভাবে নেননি ভারতের এই কোচ।
গম্ভীরের হঠাৎ রেগে যাওয়া মানতে পারেননি ফোর্টিসও। তিনি গম্ভীরের আচরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই হুমকিতে দমে না গিয়ে গম্ভীর পাল্টা উত্তর দেন, ‘এসব বন্ধ করো। আমাদের বলতে হবে না যে আমরা কী করব। ভারতের কোনো খেলোয়াড়কে তোমার এটা বলার কোনো অধিকার নেই যে তারা কী করবে। তুমি তো শুধু একজন মাঠকর্মী। এর বাইরে আর কিছু নও। যাও, তুমি যার কাছে খুশি গিয়ে অভিযোগ করতে পারো। তুমি বলতে এসো না যে আমাদের কী করতে হবে।’
ফোর্টিস ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সর্বশেষ টানা তিন বছরের সেরা কিউরেটর।