সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেটের কারণে স্পিনারদের কথাটা আলাদা করে বলা। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদের মোট ১২ ওভারে ৬৬ রান নিতে পেরেছে আইরিশরা, উইকেট হারিয়েছে ৪টি। এর মধ্যে ৩টি নিয়েছেন নাসুম।
ভালো ব্যাটিং উইকেটে স্পিনারদের এমন পারফরম্যান্সের পর যেকোনো কোচই খুশি হবেন। হেরাথ শুধু খুশিই নন, গর্বিতও, ‘আমি খুশি ও গর্বিত। স্পিনারদের জন্য এটাই তো চ্যালেঞ্জ, তাই না? আমরা কীভাবে সব ধরনের কন্ডিশনে ভালো বোলিং করব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। ওরা যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে, কন্ডিশন বুঝে বোলিং করেছে, তাতে আমি খুশি।’
হেরাথ কথাগুলো বলছিলেন এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে। যেখানে কিছু উইকেট হবে স্পিন সহায়ক, কিছু আবার একদমই ব্যাটিং–স্বর্গ। তাই বাংলাদেশ দলের স্পিন বিভাগকে সব কিছুর জন্যই প্রস্তুত হবে বলছেন তিনি, ‘আমরা কিন্তু জানি না, আমরা কোন ধরনের কন্ডিশন পাব।
আমাদের সব কিছুর জন্যই প্রস্তুত হতে হবে। উইকেট বোলারদের সাহায্য করতে পারে, ব্যাটসম্যানদেরও। সব ধরনের উইকেটের জন্যই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্র। যত বেশি ক্রিকেটার খেলিয়ে দেখা যায়, ততই তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। হেরাথের কথায়ও সেই আভাস, ‘আমরা যদি অন্য ক্রিকেটারদের যথেষ্ট সুযোগ দিতে পারি, সেটা খুবই ভালো হবে। তবে সমন্বয় যেটাই হোক, আমাদের দেখতে হবে কীভাবে আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পারি।’
প্রথম ম্যাচে সেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের ভালোই একটা প্রদর্শনী উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচে যা ছাড়িয়ে যাওয়া একটু কঠিনই হবে। তবে কে জানে, বাংলাদেশ যেমন ছন্দে আছে, সবই হয়তো সম্ভব।