‘আসল জুটিটা ছিল রিয়াদ ভাই আর শান্তর’

৬২ বলে ৬৯ রান এসেছে নাজমুল হোসেন ও মাহমদুউল্লাহর চতুর্থ উইকেট জুটিতেশামসুল হক

একটা জুটিতে উঠেছে ৬২ বলে ৬৯ রান, আরেকটিতে ১৭৫ বলে ১৬৫, তা–ও অবিচ্ছিন্ন।

প্রথম জুটিটা মাহমুদউল্লাহ–নাজমুল হোসেনের, দ্বিতীয়টি নাজমুল–মুশফিকুর রহিমের। ২৫৫ রান তাড়ায় একটা জুটিই যখন অবিচ্ছিন্ন থেকে ১৬৫ রান তুলে ফেলে, তখন অন্য সব জুটির কথা আড়ালেই চলে যাওয়ার কথা। তবে ম্যাচ–জেতানো জুটিতে থাকা মুশফিক নিজেদের দেড় শর বেশি রানের জুটির চেয়ে এগিয়ে রাখলেন মাহমুদউল্লাহ–নাজমুলের ৬৯–কেই। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল যে ৬ উইকেট আর ৩২ বল হাতে রেখেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে, তাতে মাহমুদউল্লাহকে কৃতিত্ব দিলেন মুশফিক।

আরও পড়ুন

মুশফিক যখন ব্যাট করতে নামেন, বাংলাদেশের রান তখন ৪ উইকেটে ৯২। শুরুটা ছিল আরও বাজে। বাংলাদেশ ৫.১ ওভারে ২৩ রান তুলতেই হারিয়েছিল ৩ উইকেট। সেখান থেকে নাজমুল–মাহমুদউল্লাহর জুটি দলকে নিয়ে যায় এক শর কাছাকাছি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, নাজমুল–মাহমুদউল্লাহর চতুর্থ উইকেট জুটিই বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছে, ‘আমাদের জুটিটা অবশ্যই ভালো হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত আসল জুটিটা ছিল রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) আর শান্তর (নাজমুল)। ওই সময়টায় বল একটু নতুন ছিল। শিশিরও অত বেশি ছিল না।’

৩৭ বলে ৩৭ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ
প্রথম আলো

৬২ বলে ৬৯ রানের জুটিতে ৩৭ বলে ৩৭ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। শ্রীলঙ্কা শুরুতে কয়েক উইকেট তুলে নেওয়ার পরও যে বাংলাদেশ রান রেটে পিছিয়ে পড়েনি, সেটিকে বড় করে দেখছেন মুশফিক, ‘যেকোনো দলই চাইবে শুরুতে ২–৩টা উইকেট তুলে নিতে। সেটা ওরা পেয়েছেও। রিয়াদ ভাই ও শান্ত তখন ব্রিলিয়ান্ট ব্যাটিং করেছে। রানরেটটা ঠিক ছিল। এরপর আমি এবং আরও যারা ছিলাম, তাদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে গেছে। আমাদের উচ্চাভিলাষী শট খেলার দরকার ছিল না।’

আরও পড়ুন

মাহমুদউল্লাহর ইনিংসটিতে রানের চেয়ে ইনটেন্টের বড় ভূমিকা দেখছেন মুশফিক। দিলশান মাদুশঙ্কাকে এক ওভারে মেরেছেন তিনটি চার, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মেরেছেন ছয়। এ ক্ষেত্রে ৩৮ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহর অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে মুশফিক বলেন, ‘এটাকে অভিজ্ঞতা বলে। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের সেরা বোলার যদি চাপে পড়ে, তখন ওরা ভিন্ন চিন্তা করে। তখনই কিন্তু জুটিটা বেশি গড়ে ওঠে। অভিজ্ঞতা আসলেই বড় ব্যাপার। শান্ত শুরুটা কিছুটা স্ট্রাগল করছিল। এটা স্বাভাবিক। এই পুরো ম্যাচের প্রথম ক্রেডিট অবশ্যই রিয়াদ ভাই এবং শান্তর। সবার আগে রিয়াদ ভাইয়ের। ওই ইনটেন্টে ব্যাটিং করা...পরে আমার আর শান্তর জন্য রান করাটায় কোনো চাপই ছিল না।’