বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড

কাবুলে অবস্থিত আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সদর দপ্তরছবি: টুইটার

আইসিসির কাছ থেকে টাকা নিতে না পারায় অর্থসংকটে ভুগছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। অর্থের অভাবে বোর্ডের কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে এসিবি। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে সামনের দিনগুলোয় কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন ৩০ শতাংশের বেশি দেওয়া সম্ভব হবে না।

বোর্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সূত্রে এ খবর জানিয়েছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

আফগান ক্রিকেট বোর্ডের অর্থসংকটের মূল কারণ আফগানিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা। গত বছরের আগস্টে দেশটির ক্ষমতা দখল করে তালেবান। প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর কেউই তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি।

এমন অবস্থায় বহির্বিশ্ব থেকে আফগানিস্তানে অর্থ পাঠানোর পথও বন্ধ। যে কারণে এসিবির প্রাপ্য অর্থ দিতে পারছে না আইসিসি।

২০১৭ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পায় আফগানিস্তান। এর অন্যতম সুবিধা হচ্ছে আইসিসির বাণিজ্যিক আয়ের ভাগ পাওয়া যায়। লভ্যাংশ হিসেবে এসিবিকে প্রতিবছর ৪.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয় আইসিসি।

একটি অংশ দেওয়া হয় জানুয়ারিতে, অপর অংশ জুলাইয়ে। গত বছর তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার আগের মাসে লভ্যাংশের সর্বশেষ অংশ পায় এসিবি। কিন্তু এ বছর জানুয়ারি–জুলাই দুই মেয়াদেই এসিবিকে টাকা পাঠাতে পারেনি আইসিসি।

আইসিসির লভ্যাংশ ছাড়া আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অন্য কোনো আয় নেই। আইসিসির কাছ থেকে টাকা না পাওয়ায় বোর্ডের পরিচালন–খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে এসিবি।

অবশ্য আফগানিস্তান জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক দলগুলোর সব খেলোয়াড় এবং কোচরা এখন পর্যন্ত শতভাগ বেতন পেয়েছেন বলে জানিয়েছে ক্রিকইনফো।

কিন্তু টানাটানি শুরু হয়েছে বোর্ডে কর্মরতদের বেতন দেওয়ায়।

রশিদ খানরা ব্যস্ত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে
ছবি: টুইটার

আইসিসি থেকে অর্থপ্রাপ্তির পথ খুলতে গত সপ্তাহে এই বৈশ্বিক ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে এসিবি। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নাসিব খান এক টুইটে জানান, আইসিসির সিইও জোয়েফ অ্যালারডাইসের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি, ‘আমাদের ব্যাংকিং সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান সম্পর্কে মিস্টার অ্যালারডাইসের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। একটি ক্রীড়া সংস্থা হিসেবে এসিবির ব্যাংকিং সমস্যার সমাধান করা জরুরি। আমরা আইসিসিকে তাদের নিয়িমত সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

দুবাইয়ে থাকা এসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকইনফোকে জানান, আফগানিস্তানে অর্থ পাঠানোর বিকল্প পথ নিয়ে আলাপ করেছেন তাঁরা।

এর মধ্যে আছে নিবন্ধিত বেসরকারি স্বেচ্চাসেবী সংস্থার মাধ্যমে অর্থ প্রেরণের চেষ্টাও।